ভোরের আলো ফোটার আগেই মহারাষ্ট্র থেকে তুলে নেওয়া হয় রাষ্ট্রপতি শাসন
মহারাষ্ট্রে বিধানসভা ভোটের ফলাফল ঘোষণা হয়েছিল ২৪ অক্টোবর। কিন্তু তার পর তিন সপ্তাহ কেটে গেলেও কেউ সরকার গড়তে না পারায় ১২ নভেম্বর সেখানে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করেন রাজ্যপাল ভগত সিং কোশিয়ারী। তবে দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর শেষ পর্যন্ত আজ দ্বিতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। তবে সকাল ৮টায় সেই শপথ গ্রহণের আগে ভোর ৫টা ৪৭ মিনিটে রাষ্ট্রপতি শাসন তুলে নেওয়া হয় মহারাষ্ট্রের উপর থেকে।
|
স্বরাষ্ট্র সচিবের বিজ্ঞপ্তি
আজ সকাল ৮টা নাগাদ মাহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল ভগত সিং কোশায়ারি দেবেন্দ্র ফড়ণবীসকে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথবাক্য পাঠ করান। অন্যদিকে ডেপুটি হিসাবে শপথ নেন এনসিপি বিধায়ক অজিত পাওয়ার। এর আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় কুমার ভাল্লা একটি তিন লাইনের বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলেন, মাননীয় রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ মহারাষ্ট্র থেকে রাষ্ট্রপতি শাসন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রপতি শাসন জারি ও প্রত্যাহার, এই দুই ক্ষেত্রেই রাজ্যপালের সুপারিশের উপর ভিত্তি করে পদক্ষেপ নেওয়া হয়। যার অর্থাৎ গতরাত মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল ভগত সিং কোশিয়ারির অফিস এই বিষয়ে কাজ করে।
অন্ধকারে ছিলেন বিরোধীরা
তবে এই রাষ্ট্রপতি শাসন প্রত্যাহারের বিষয়ে বিজেপি ও এনসিপির একাংশ ছাড়া ওয়াকিবহাল ছিল না কোনও রাজনৈতিক দলই। গতকাল অর্থাৎ, শুক্রবার পর্যন্ত পরিস্থিতি যা দাঁড়িয়েছিল তাতে সকলেই নিশ্চিত ছিলেন যে সে রাজ্যে এবার সরকার গড়তে চলেছে শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেস জোট। শুক্রবার তিনদলের একসঙ্গে এক বৈঠকের পর সাংবাদিক সম্মেলন করে একথা জানিয়েও দেওয়া হয় যে মহারাষ্ট্রের আগামী মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেবেন উদ্ধব ঠাকরে, শিবসেনা প্রধানকে ওই পদে বসানোর ব্যাপারে সব দলই সহমত হয়েছে বলে জানায় তাঁরা।
বিজেপির সরকার গঠন
তবে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পাল্টে যায় মহারাষ্ট্রের যাবতীয় রাজনৈতিক সমীকরণ। শনিবার এনসিপির অজিত পাওয়ারের সঙ্গে জোট বেঁধে সে রাজ্যে সরকার গড়ে গেরুয়া দল।