কেন্দ্র-রাজ্য সমন্বয়তেই কার্যকর হবে নয়া শিক্ষানীতি! আশাবাদী রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ
রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে জাতীয় শিক্ষানীতি সংক্রান্ত কনক্লেভের সূচনা হয় এদিন। সেই অনুষ্ঠানেরই সূচনা করেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। এদিনের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতিকে বক্তৃতা রাখতে আমন্ত্রণ জানান কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিওয়াল নিশঙ্ক।
রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ যা বলেন
এদিন অনুষ্ঠান সূচনা করতে গিয়ে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ বলেন, 'শিক্ষানীতি সঠিক ভাবে কার্যকর করার লক্ষ্যে ন্যাশনাল এডুকেশন অ্যান্ড টেকনলজি ফোরামের গঠন হবে। রাজ্য এবং কেন্দ্রের একজোট হয়ে এই শিক্ষা নীতি প্রয়োগ করতে হবে। আমি এই নয়া শিক্ষানীতি নিয়ে রাজ্যগুলির উৎসাহ দেখে উৎফুল্ল। পরবর্তীতে আমি কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে এই সংক্রান্ত ভার্চুয়াল সম্মেলনে যোগ দেব। সব রাজ্যপাল ও রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীদের এই শিক্ষানীতি কার্যকর করার বিষয়ে খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকবে।'
আমন্ত্রিত হয়েছেন সমস্ত রাজ্যের রাজ্যপাল, শিক্ষামন্ত্রী, উপাচার্যরা
আজকের এই বৈঠকটি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমেই আয়োজিত হয়। বৈঠকে আমন্ত্রিত হয়েছেন সমস্ত রাজ্যের রাজ্যপাল, শিক্ষামন্ত্রী, উপাচার্যরা। শিক্ষামন্ত্রকের উদ্যোগে আয়োজিত হচ্ছে এই 'উচ্চ শিক্ষার রূপান্তরকরণের ক্ষেত্রে এনইপি -২০২০'র ভূমিকা' শীর্ষক সম্মেলনটি।
নয়া শিক্ষানীতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য
এদিকে প্রধানমন্ত্রী এদিন নয়া শিক্ষানীতি নিয়ে বলেন, 'বিদেশনীতি, প্রতিরক্ষানীতি যেমন দেশের হয়, এই শিক্ষানীতিও দেশের। এটা কোনও বিশেষ রাজনৈতিক দলের নয়। টেকনলজির বিস্তার গ্রামে গ্রামে পৌঁছে দিচ্ছি আমরা। সেভাবেই দেশের কোণায় কোণায় জ্ঞান পৌঁছে দিতে হবে আমাদের। শিক্ষানীতিতে যেকোনও সরকারের হস্তক্ষেপ খুবই কম হওয়া উচিত।'
৩৪ বছর পর বদল
উল্লেখ্য, নয়া শিক্ষানীতিতে মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের নাম বদলে হয়েছে শিক্ষামন্ত্রক। স্বাধীনতার পর থেকে এই নামেই পরিচিত ছিল সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক। পরে ১৯৮৫ সালে তা বদল করা হয়। নতুন শিক্ষানীতিতে সকলের জন্য শিক্ষার অধিকার রয়েছে। নতুন জাতীয় শিক্ষানীতিতে গুরুত্বহীন দশম বা দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষা। এই পরীক্ষায় পড়ুয়াদের মুখস্থ বিদ্যার বদলে হাতেকলমে শিক্ষায় জোর দেওয়া হবে।