বাজেটের আগে রাষ্ট্রপতির মোদী স্তূতি, ক্ষুব্ধ বিরোধীরা
এদিন বাজেটের আগের দিন সংসদের সেন্ট্রাল হলে রাষ্ট্রপতি উদ্বোধনী ভাষণ দেন প্রথা মেনে।
নরেন্দ্র মোদী সরকার প্রথম দিন থেকেই জনগণের হয়ে কাজ করতে উদ্যোগী হয়েছে। চেয়েছে যাতে দেশের প্রান্তিক মানুষের কাছেও সমস্ত সুবিধা পৌঁছে যায়। উজ্জ্বলা যোজনা, আয়ুষ্মান ভারত যোজনা, স্বচ্ছ ভারত অভিযান, বিদ্যুতায়ন, সহজে ঋণ প্রদান সহ একাধিক কেন্দ্রীয় সরকারি প্রকল্প যা মোদী সরকারের আমলে হয়েছে, তার এভাবেই খোলাখুলি প্রশংসা করতে শোনা গিয়েছে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দকে। এদিন বাজেটের আগের দিন সংসদের সেন্ট্রাল হলে রাষ্ট্রপতি উদ্বোধনী ভাষণ দেন প্রথা মেনে। সেই ভাষণের পর বিরোধীদের অভিযোগ, মোদী সরকার রাষ্ট্রপতিকে দিয়ে তাঁর ভাষণে এসব জনমোহিনী কথা বলিয়ে নিয়েছে। যেখানে বাস্তব পরিস্থিতি এর থেকে আলাদা। এমনকী রাফালে চুক্তি নিয়েও রাষ্ট্রপতির স্তূতিতে জোর ক্ষিপ্ত বিরোধীরা। যা নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে।
রাষ্ট্রপতি নিজের ভাষণে বলেছেন, দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে সরকার নজর দিয়েছে। বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের সুবিধা যাতে প্রান্তিক মানুষ পায় সেদিকে নজর দিয়েছে। সারা দেশে এই সরকার ১.৩ কোটি বাড়ি তৈরি করে দিয়েছে। মেয়েদের সুরক্ষার জন্য আরও কড়া আইন করেছে যাতে ধর্ষক সাজা পায়।
মধ্যবিত্ত শ্রেণি এই সরকার ক্ষমতায় আসায় দারুণ উপকৃত হয়েছে। আয়করে বড় ছাড় অনেককে সুবিধা দিয়েছে। এই সরকারের আমলে করদাতার সংখ্যা অনেক বেড়েছে। এই সরকার মাতৃত্বকালীন ছুটি ১২ সপ্তাহ থেকে বাড়িয়ে ২৬ সপ্তাহ করে দিয়েছে।
কৃষকের আয় বাড়ানোর চেষ্টা করছে। এই সরকারের আমলে ৩৪ কোটি নতুন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। কালো টাকা ও দুর্নীতি কমাতে সরকার উদ্যোগী হয়েছে বলে মত রাষ্ট্রপতির।
এখন ভারত মোবাইল নির্মাণে বিশ্বে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে। এশিয়ার সবচেয়ে বড় মেডটেক জোন অন্ধ্রপ্রদেশে তৈরি হয়েছে। ইসরোর বিজ্ঞানীরা দেশকে নানাভাবে সম্মানিত করে চলেছেন। একের পর এক সাফল্য ইসরোর ঝুলিতে এসেছে।
এই সরকার বুঝেছে পূর্ব উত্তরপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা সহ সমগ্র পূর্ব ভারতে উন্নতির জায়গা রয়েছে। সরকার পূর্ব ভারতে রেল ও জলপথকে মজবুত করার চেষ্টা করছে।
রাষ্ট্রপতি বলছেন, রাফালে চুক্তির ফলে ভারতের বায়ুসেনা আরও শক্তিশালী হবে। ৩৬টি রাফালে বিমান কিনচে চলেছে সরকার। যার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন রাষ্ট্রপতি কোবিন্দ। বিরোধীদের অভিযোগ উড়িয়ে সরকারের পাশেই দাঁড়িয়েছেন। এছাড়া নোট বাতিলের ফলে দুর্নীতি ও কাল টাকায় লাগাম পড়ানো গিয়েছে বলেও জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। সরকারের অতি স্তূতিতেই বিরোধীরা ক্ষিপ্ত হয়েছেন। লোকসভা নির্বাচনের আগে রাষ্ট্রপতিকে দিয়ে এসব বলিয়ে নেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।