রাষ্ট্রপতির অনুমোদন উচ্চবর্ণের সংরক্ষণ বিলে, আরও ১০ শতাংশ সংরক্ষণ স্রেফ অপেক্ষা
সংসদের দুই কক্ষে পাস হওয়ার পর রাষ্ট্রপতির কাছে গিয়েছিল সংরক্ষণ বিল। সংবিধান সংশোধনী ২০১৯-এর সংরক্ষণ বিলকে অনুমোদন দিয়ে দিলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ।
সংসদের দুই কক্ষে পাস হওয়ার পর রাষ্ট্রপতির কাছে গিয়েছিল সংরক্ষণ বিল। সংবিধান সংশোধনী ২০১৯-এর সংরক্ষণ বিলকে অনুমোদন দিয়ে দিলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। শনিবার উচ্চবর্ণের শিক্ষা ও চাকরির ক্ষেত্রে এই সংরক্ষণ বিলের অনুমোদন দিয়ে আইনের পথ প্রশস্ত করে দিলেন রাষ্ট্রপতি। আর কোনও বাধা রইল না সংরক্ষণ বিল আইনে পরিণত হতে।
সম্প্রতি উচ্চবর্ণের জন্য সংরক্ষণের কথা ঘোষণা করে কেন্দ্রের মোদী সরকার। তারপর তা বিল আকারে পেশ হয় সংসদের দুই কক্ষে। একে একে দুই কক্ষে পাস হয়ে যাওয়ার পর বিলটি যায় রাষ্ট্রপতির কাছে। রাষ্ট্রপতির অনুমোদন মিলে যাওয়ায় আইন হলেই শিক্ষা ও চাকরিতে আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া উচ্চবর্ণের মানুষেরা সংরক্ষণের আওতায় আসবেন।
President Ram Nath Kovind gives nod to 10% quota bill for economically weaker section in general category. pic.twitter.com/PDvx3OD58u
— ANI (@ANI) January 12, 2019
এই বিল রাষ্ট্রপতির অনুমোদেন হয়ে যাওয়ায় পণ্ডিত, জাঠ, গুর্জর, মারাঠারা সংরক্ষণের সুবিধা পাবেন। সবমিলিয়ে ১৯ কোটি মানুষ এই সংরক্ষণের আওতায় আসবেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় সংরক্ষণ প্রস্তাব পাস হয়ে যাওয়ার পর তা সংবিধান সংশোধনী হিসেবে সংসদে পেশ করা হয় মঙ্গলবার। বিলকে আইনে পরিণত করার প্রথম ধাপে অর্থাৎ লোকসভায় পাস করে যায় মোদী সরকার। বুধবার রাজ্যসভাতেও তা পাস হয়ে যায়। এবার রাষ্ট্রপতিও দিলেন অনুমোদন।
বর্তমানে তফশিলি জাতি, তফশিলি উপজাতি এবং অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির মানুষেরা যথাক্রমে ১৫%, ৭.৫% এবং ২৭% সংরক্ষণের সুবিধা পেতেন। সংরক্ষণ বিল আইনে পরিণত হওয়ার পর এবার থেকে ১০ শতাংশ উচ্চবর্ণেও মানুষও সংরক্ষণের সুবিধা পাবেন।