বিজেপি সাংসদ খুনি, ধর্ষণকারী বললেও টিপু সুলতানের প্রশংসায় রাষ্ট্রপতি
মহীশূরের প্রাক্তন শাসক টিপু সুলতানকে স্বাধীনতা সংগ্রামী বললেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। কর্নাটক বিধানসভার এক অনুষ্ঠানে বিশ্বে রকেটের উদ্ভাবক বলেও বর্ণনা করেছেন তাঁকে।
মহীশূরের প্রাক্তন শাসক টিপু সুলতানকে স্বাধীনতা সংগ্রামী বললেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। কর্নাটক বিধানসভার এক অনুষ্ঠানে বিশ্বে রকেটের উদ্ভাবক বলেও বর্ণনা করেছেন তাঁকে।
টিপু সুলতান ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে বীরের মতো মৃত্যু বরণ করেছিলেন। তিনিই প্রথম যুদ্ধক্ষেত্রে মাইসুরু রকেট ব্যবহার করেছিলেন। এই প্রযুক্তি পরে ইউরোপিয়ানদের কাছে যায় বলে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রপতি। বিধান সৌধের হীরকজয়ন্তী উপলক্ষে কর্নাটক বিধানসভার যৌথ অধিবেশনে ভাষণ দিচ্ছিলেন তিনি।
২০১৫ থেকে টিপু সুলতানের জন্ম জয়ন্তী পালন করছে রাজ্যের কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন সরকার। গোড়া থেকেই সেই অনুষ্ঠানের বিরোধী বিজেপি। অন্যদিকে ২০১৮-র বিধানসভা নির্বাচনের আগে শেষ বারের জন্য ১০ নভেম্বর টিপু জয়ন্তী পালন করছে রাজ্য সরকার। এবছরের অনুষ্ঠান বয়কটের হুমকি দিয়ে রেখেছে বিজেপি। সেখানে টিপু সুলতানকে নিয়ে রাষ্ট্রপতির প্রশংসা সূচক এই বক্তব্য কংগ্রেসকেই সাহায্য করবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
২৯ ডিসেম্বর ১৭৮২ থেকে ৪ মে ১৭৯৯ পর্যন্ত মহীশূরের শাসক ছিলেন টিপু সুলতান। ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য তাঁকে মহীশূরের বাঘও বলা হত। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সঙ্গে যুদ্ধে ১৭৯৯-এ নিহত হন টিপু সুলতান।
এদিকে, উত্তরা কানাডা থেকে ৫ বারের নির্বাচিত সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনন্তকুমার হেগড়ে টিপুর জন্ম জয়ন্তী পালনে অংশ নেবেন না বলে জানিয়েছেন। টিপু সুলতানকে নৃশংস খুনি, গোঁড়া ধর্মোন্মাদ এবং গণধর্ষণকারী বলে বর্ণনা করেছেন তিনি। কর্নাটক সরকারের অনুষ্ঠানকে লজ্জাজনক বলেও বর্ণনা করেছেন তিনি।
অনুষ্ঠানের রাজ্যের উন্নয়নে কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এস নিজালিঙ্গাপ্পা, ডি দেবরাজ, বিডি জাত্তি, রামকৃষ্ণ হেগড়ে, এসআর বোম্মাই, বীরেন্দ্র পাটিল এবং এসএম কৃষ্ণের অবদানের কথা স্মরণ করেন রাষ্ট্রপতি। অপর মুখ্যমন্ত্রী তথা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেবেগৌড়াকে তাঁর ব্যক্তিগত বন্ধু বলেও জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি।