অবশেষে জামিন জামিয়ার অন্তঃসত্ত্বা ছাত্রী সফুরা জারগরের, কিন্তু আগের তিন আবেদন খারিজ হল কেন
অবশেষে জামিনে মুক্ত হলে দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণী নেত্রী সফুরা জারগর। দিল্লি হিংসা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া অন্তঃসত্ত্বা এই ছাত্রীকে শেষপর্যন্ত জামিন দিল দিল্লি হাইকোর্ট। সূত্রের খবর, মানবিকতার খাতিরেই কেন্দ্রের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা এই জামিনের বিরোধিতা করেননি।

এর আগে খারিজ হয় তিনটি জামিনের আবেদন
এর আগে তিনবার তিনি জামিনের আবেদন করলেও তা খারিজ হয়ে যায় বলে জানা যাচ্ছে। জানুয়ারি মাসে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে একটি প্রতিবাদসভায় উপস্থিত ছিলেন জামিয়ার গবেষক সফুরা জারগার। আন্দোলনের মুখও ছিলেন তিনি। এরপর প্রায় চারমাস পরে সন্ত্রাসবাদী দমন আইন মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছিল ২৭ বছর বয়সি এই তরুণীকে।

১০ই এপ্রিল ৩ মাসের সন্তান পেটে নিয়ে জেলে যান সফুরা
দিল্লি হিংসায় ষড়যন্ত্রের অভিযোগও আনা হয়েছিল তাঁর বিরুদ্ধে।এই সময়ে সফুরা অন্তঃসত্ত্বা বলে জানা যায়। ১০ই এপ্রিল ৩ মাসের সন্তান পেটে নিয়েই জেল যেতে হয় আদপে কাশ্মীরের বাসিন্দা সফুরাকে। এদিকে গত বছরের ডিসেম্বর মাসে লোকসভায় পাশ হয় নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন। তারপরই CAA, NRC ইস্যু নিয়ে গোটা দেশ উত্তাল হয়ে ওঠে। অশান্তির আগুনে ঝলসে যায় রাজধানী দিল্লিও। প্রতিবাদ বিক্ষোভে ফেটে পড়েন আলিয়া, জানিয়া, জেএনইউ সহ একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা।

সফুরাকে মিথ্যে মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ
এদিকে দিল্লি পুলিশ সূত্রে খবর, অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় কারাবাস কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। গত ১০ বছরে দিল্লির তিহাড় জেলে ইতিমধ্যেই ৩৯ জন মহিলা সন্তান প্রসব করেছেন বলেও জানা যাচ্ছে। যদিও সফুরাকে মিথ্যে মামলায় ফাঁসিয়ে গ্রেফাতার করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে একাধিক মহল থেকে। লকডাউনের মাঝেই সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হয় নেটিজেনদের একটা বড় অংশ।

জামিন পেলেও কি কি বিধিনিষেধ থাকছে সফুরার জন্য ?
অবশেষে এদিন ১০,০০০ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডের বিনিময়ে তাঁকে জামিন দিয়েছে আদালত। তদন্তে বাধা পড়তে পারে, সফুরা জারগরকে সেরকম কোনোও কার্যকলাপে জড়িত না করার নির্দেশ দিয়েছেন দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি রাজীব শাকধ। অনুমতি ছাড়া দিল্লিও ছাড়তে পারবেন না তিনি। এছাড়াও ১৫ দিনে অন্তত একবার তদন্তকারী অফিসারের সাথে ফোনে যোগাযোগ করতে হবে সফুরাকে।

'ব্যবস্থা না নিলে বেঙ্গালুরু আর একটা ব্রাজিল হয়ে উঠবে’, কিন্তু কেন একথা বললেন এইচডি কুমারস্বামী