দুই তরুণের পেটের যন্ত্রণা, ডাক্তার দাওয়াই দিলেন প্রেগনেন্সি টেস্ট
দুই তরুণের পেটের যন্ত্রণায় ডাক্তারের দাওয়াই প্রেগনেন্সি টেস্ট
দুই পুরুষ রোগীর পেটের যন্ত্রণায় প্রেগনেন্সি টেস্ট করতে দেওয়ার ঘটনা ঘটল ঝাড়খণ্ডের ছাতরা জেলায়। গত ১লা অক্টোবর এমনই অদ্ভুত ঘটনা ঘটেছে ঝাড়খণ্ডের সিমারিয়ার সরকারি হাসপাতালে। এই ধরনের ঘটনা মেডিকেল সায়েন্সের ইতিহাসে প্রায় বিরল বলেই মনে করছে চিকিৎসক মহলের একাংশ। যদিও গোটা ঘটনায় অভিযোগের তীর ওই হাসপাতালেরই চিকিৎসক মুকেশ কুমারের দিকে।
পেটের যন্ত্রণার কারণে নিয়ে গত ১লা অক্টোবর ছাতরার দুই বাসিন্দা গোপাল ঘান্জু (২৩) ও কামেশ্বর ঘান্জু (২৬) সিমারিয়ার সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে যান। সেখানে তাদের শারীরিক অবস্থা পরীক্ষা করার পর মুকেশ কুমার তাদের প্রেগনেন্সি টেস্ট, এইচআইভি, এইচসিভি সহ একাধিক পরীক্ষার কথা প্রেসক্রিপশনে লিখে দেন বলে জানা গিয়েছে।
এরপরই চাপানউতোর শুরু হয় হাসপাতাল চত্বর জুড়ে। গোটা ঘটনার জেরে শোরগোল পড়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়াতেও। ইতিমধ্যেই ছাতরা জেলার সিভিল সার্জেন অরুণ কুমার পাসওয়ানের কাছে মুকেশ কুমারের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগও জানিয়েছে ওই দুই ভুক্তভোগী রোগী। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে ড.মুকেশ জানান 'যা রটেছে তার পুরোটাই মিথ্যে। আমার সুনাম ক্ষুণ্ণ করতেই এই চক্রান্ত করা হয়েছে।’
যদিও ঝাড়খণ্ডে চিকিৎসায় এই বেনিয়মের অভিযোগ কিন্তু নতুন নয়। চলতি বছরের আগস্ট মাসে ঝাড়খণ্ডের পূর্ব সিংভূম জেলার ঘাটশিলা উপ-মহকুমা সদর হাসপাতালেও এই ধরনের একটি ঘটনার কথা শোনা যায়। পেটের যন্ত্রণায় এক মহিলা ডাক্তারের কাছে এলে তাকে নিরোধ ব্যবহারের পরামর্শ দেন এক সরকারি চিকিৎসক। ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসার পরই ওই চিকিৎসকে সরিয়ে দেওয়া হয় বলে জানান পূর্ব সিংভূম জেলার সিভিল সার্জেন।