পিকে-র প্রয়োজন নেই, কংগ্রেস একাই লড়াই জিততে সক্ষম, জল্পনার অবসান ঘটালেন প্রশান্ত কিশোর
পিকে-র প্রয়োজন নেই, কংগ্রেস একাই লড়াই জিততে সক্ষম, জল্পনার অবসান ঘটালেন প্রশান্ত কিশোর
কংগ্রেসে যোগদানের সব জল্পনার অবসান ঘটিয়েছেন প্রশান্ত কিশোর নিজেই। ইন্ডিয়া টুডে নামেএক প্রথম সারির সংবাদ মাধ্যমকে বিশেষ সাক্ষাৎকারে প্রশান্ত কিশোর জানিয়েছেন, কংগ্রেসের একা লড়াই করার ক্ষমতা রয়েছে। তার জন্য পিকের প্রয়োজন নেই। একের পর এক জল্পনা পারদ চড়ছিল প্রশান্ত কিশোরকে নিয়ে। দফায় দফায় কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে বৈঠক। সেটা যে ফলপ্রসূ হয়নি তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।
কংগ্রেসে যোগদানের জল্পান ওড়ােলন পিকে
কংগ্রেসে যোগ দিচ্ছেন না তিনি। সরাসরি প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন ভোটকুশলী। ২০২৪-এ কংগ্রেস হালে পানি পেতে প্রশান্ত কিশোরের সাহায্য নিতে পারে বলে মনে করছিল রাজনৈতিক মহল। দফায় দফায় সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে পিকের বৈঠকেসেই জল্পনা আরওপারদ চড়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ভোট কুশলী নিজেই জানিয়ে দিয়েছেন তিনি কংগ্রেসে যোগ দিচ্ছেন না। নিেজই কংগ্রেসে যোগ দানের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন। হঠাৎ করে ভোটকুশলীর এই পদক্ষেপে আবার নতুন জল্পনা তৈরি হয়েছিল।
সোনিয়া-পিকে বৈঠক
একুশের বিধানসভা ভোটের পরেই প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে সোনিয়া গান্ধী বৈঠক করেছিলেন। বৈঠক করেছিলেন রাহুল গান্ধী এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর সঙ্গে। উত্তর প্রদেশের ২০১৭- বিধানসভা ভোটের পর যে দূরত্ব তাঁদের মধ্যে তৈরি হয়েছিল তার অবসানের ইঙ্গিত দেখা দিয়েছিল। সেই মতবিরোধ কাটাতে বেশ কয়ের দফায় প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে সোনিয়া গান্ধীর বৈঠক হয়। সম্প্রতি ৫ রাজ্যের বিধানসভা ভোটে কংগ্রেসের অত্যন্ত খারাপ ফলাফলে টনক নড়ে হাইকমান্ডের। কীভাবে দলের হাল ফেরানো যায় তা নিয়ে প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে নাকি কয়েক দফায় বৈঠক করেন সোনিয়া গান্ধী।
গান্ধী মুক্ত সভাপতি পদ চেয়েছিলেন পিকে
সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে বৈঠকে দলের হাল ফেরাতে বেশ কিছু প্রস্তাব দিয়েছিলেন প্রশান্ত কিশোর। তার মধ্যে অন্যতম ছিল সভাপতি পদে গান্ধী পরিবারের বাইরে কাউকে বসানো। কারণ কংগ্রেসকে পরিবার তান্ত্রিক দল বলে বিজেপি যে ভাবে প্রচার চালিয়েছে সেই ধারনা থেকে মানুষকে বের করে আনতে সভাপতি পদে গান্ধী পরিবারের বাইরে কাউকে বসানোর কথা বলেছিলেন পিকে। যদিও ইউপিএ চেয়ারপার্সন পদে সোনিয়া গান্ধীকেই চেয়েছিলেন তিনি। সূত্রের খবর সভাপতি পদে প্রশান্ত কিশোরের পছন্দ ছিল প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে। কোনও কারণেই হোক পিকের প্রস্তাব পছন্দ হয়নি সোনিয়ার।
একা লড়তে সক্ষম কংগ্রেস
কংগ্রেসের সঙ্গে ২০১৭ থেকে দূরত্ব তৈরি হয়েছিল প্রশান্ত কিশোরে। কয়েকদিন আগেও প্রকাশ্যে রাহুল গান্ধীর নেতত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি। প্রশান্ত কিশোর বলেছিলেন মোদীর বিরোধিতায় রাহুল গান্ধী যে পথে হাঁটতে চান সেটা কোনও ভাবেই কাজে আসবে না। রাহুল মনে করেন মানুষ মোদীেক এনেছেন এবং মানুষই তাঁকে সরিয়ে দেবে। সেটা করতে গেেলও রাজনৈতিক রণকৌশলের প্রয়োজন আছে। তার জন্য চুপ করে বসে থাকা যায় না। আসল কথা রাহুল গান্ধীকে পদে বসিয়ে দল চালানোর ক্ষেত্রে আপত্তি জানিয়েছিলেন তিনি। রাহুল গান্ধী কয়েকদিন আগেই জানিয়েছিলেন প্রশান্ত কিশোর কংগ্রেসে যোগ দেবেন না। সেটাই সত্যি হয়েছে। কংগ্রেসে যোগদানের প্রস্তাব ফিরিেয় দেন ভোটকুশলী।