‘গুজরাত থেকে ভারত জোড়ো যাত্রা শুরু করা উচিৎ ছিল,’ মন্তব্য প্রশান্ত কিশোরের
‘গুজরাত থেকে ভারত জোড়ো যাত্রা শুরু করা উচিৎ ছিল,’ মন্তব্য প্রশান্ত কুমারের
কংগ্রেসের 'ভারত জোড়ো যাত্রা' নিয়ে প্রতিক্রিয়া দেখালেন প্রাক্তন রাজনৈতিক কৌশলবিদ প্রশান্ত কিশোর। তিনি বলেন, তামিলনাড়ু থেকে নয়, কংগ্রেসের উচিত ছিল এই ভারত জোড়ো যাত্রা গুজরাত বা ভারতের যে কোনও বিজেপি শাসিত রাজ্য থেকে শুরু করা।
কী বললেন প্রশান্ত কিশোর
প্রশান্ত কিশোর বলেন, কংগ্রেসের ভারত জোড়ো যাত্রা গুজরাত থেকে শুরু করা উচিৎ ছিল। গুজরাত না হলেও উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশের মতো রাজ্যগুলো যেখানে বিজেপির শাসন রয়েছে, সেখান থেকে শুরু করা উচিত ছিল। প্রঙ্গত, ভারত জোড়ো যাত্রা কংগ্রেস তামিলনাড়ি তেলেঙ্গানা থেকে শুরু করেছেন। এই ভারত জোড়ো যাত্রা কাশ্মীরে গিয়ে থামবে। কংগ্রেসের এই ভারত জোড়ো যাত্রার নেতৃত্ব দিচ্ছেন রাহুল গান্ধী। কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়েছে, বিজেপি সারা দেশে ক্ষতের সৃষ্টি করেছে। সেই ক্ষতের ওপর মলম লাগাতে ও সারা দেশকে একত্রিত করতে এই ভারত জোড়ো যাত্রা শুরু হয়েছে। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখেই কংগ্রেসের এই ভারত জোড়ো যাত্রা।
বিদর্ভপন্থী অনুষ্ঠানে প্রশান্ত কিশোর
বিদর্ভপন্থী সমর্থকদের একটি অনুষ্ঠানে প্রশান্ত কুমার গিয়েছিলেন। সেখানেই তিনি বলেন, রাজনৈতিক কৌশলী হিসেবে কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছেন এবং কোনো দলের জন্য নয়, মানুষের জন্য কাজ করতে চান। বিদর্ভপন্থী সমর্থকদের সাথে আলাপচারিতায় তিনি পৃথক রাজ্যের স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করার আহ্বান জানান। প্রাক্তন বিজেপি বিধায়ক আশিস দেশমুখ পূর্ব মহারাষ্ট্র অঞ্চলের জন্য রাজ্যের মর্যাদা অর্জনের জন্য একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন। সেই অনুষ্ঠানে প্রশান্ত কিশোর উপস্থিত ছিলেন। সেই অনুষ্ঠানে প্রশান্ত কিশোর বলেন, মানুষ যদি চান সেক্ষেত্রে একটি পৃথক বিদর্ভ রাজ্যের ধারণার পথে এগনো যেতে পারে।
বিদর্ভ আন্দোলন কী
পূর্ব মহারাষ্ট্রকে ভাগ করে পৃথক একটি রাজ্যের দাবি নিয়ে যে আন্দোলন তৈরি হয়েছে তাকেই বিদর্ভ আন্দোলন বলে। এই বিদর্ভ আন্দোলনে বিভিন্ন ব্যক্তি, সংগঠন ও রাজনৈতিক দল উপস্থিত রয়েছে। মহারাষ্ট্রের পূর্বে ১১টি জেলা নিয়ে বিদর্ভ রাজ্য গঠনের দাবি জানানো হয়। সেই রাজ্যের রাজধানী হবে নাগপুর। বিদর্ভ রাজ্যের জন্য যে অঞ্চলটি দাবি করা হয়েছে সেটি মহারাষ্ট্রের ৩১ শতাংশ অঞ্চল নিয়ে গঠিত। জনসংখ্যা রাজ্যের প্রায় ২১ শতাংশ। এলাকাটিতে অনেকটা অঞ্চল জুড়ে বনাঞ্চল রয়েছে। এছাড়াও এই অঞ্চলে খণিজের ভাণ্ডার নেহাৎ কিছু কম নয়। এই অঞ্চলে চাল ও তুলো ব্যাপক পরিমাণে উৎপন্ন হয়।
প্রধানমন্ত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈধতার প্রয়োজন নেই, তীব্র প্রতিক্রিয়া অমিত মালব্যের