নীতীশ অতীত! এমকে স্ট্যালিনের ‘অফার’ গ্রহণ করে প্রশান্ত কিশোর নিলেন নয়া চ্যালেঞ্জ
নীতীশের কুমারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হতেই নতুন কাজ হাতে পেয়ে গেলেন প্রশান্ত কিশোর। এবার তামিলনাড়ুর ডিএমকের ভোট-কৌশলী হয়েও কাজ করবেন তিনি।
নীতীশের কুমারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হতেই নতুন কাজ হাতে পেয়ে গেলেন ভোটকৌশলী প্রশান্ত কিশোর। এবার তামিলনাড়ুর ডিএমকের ভোট-কৌশলী হয়েও কাজ করবেন তিনি। প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে ডিএমকে প্রধান এম কে স্টালিনের বৈঠকে চূড়ান্ত হয়েছে তা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল ছাড়াও দিল্লিতে আপের হয়েও কাজ করছে তাঁর আই-প্যাক টিম।
ডিএমকে-র ভোট কৌশলীও প্রশান্ত
২০২১-এ তামিলনাড়ু বিধানসভা নির্বাচনের জন্য ডিএমকে-র প্রচারের নেতৃত্ব দেওয়ার বিষয়টিও চূড়ান্ত হয়ে গেল প্রশান্ত কিশোরের। নীতীশের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হওয়ার পর আর দ্বিতীয়বার ভাবলেন না। প্রশান্ত কিশোর নতুন কাজ পেয়ে গেলেন। অর্থাৎ দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের পর আগামী ২০২১-এ তিনি থাকবেন দুই রাজ্যের দায়িত্বে।
একদিকে তৃণমূল, অন্যদিকে ডিএমকে
একদিকে তিনি যেমন তৃণমূলের প্রচার-পরিকল্পনাও নিরূপণ করবেন। অন্যদিকে ডিএমকের হয়েও ভোট কৌশলী হিসেবে কাজ করবেন। এখন তিনি আপের হয়ে কাজ করছেন। এর আগে ভারতীয় জনতা পার্টি বা বিজেপি, কংগ্রেস, জেডিইউ, ওয়াইএসআর কংগ্রেস পার্টির সঙ্গে কাজ করেছেন।
প্রশান্তর হাত ধরে মোদীর দিল্লি প্রবেশ
গুজরাটে নরেন্দ্র মোদীকে টানা তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে জয়লাভ করানোর পিছনে ছিলেন প্রশান্ত কিশোর। তাঁর ক্ষুরধার মস্তিষ্কে ভর করেই ২০১৪ সালে মোদী দিল্লির রাজনীতিতেও প্রবেশ করেন। ৪২ বছর বয়সী এই রাজনৈতিক-কৌশলী জনস্বাস্থ্যের প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন এবং বেশ কয়েক বছর ধরে জাতিসংঘে কাজ করেছিলেন।
পিকে-কৌশলে ব্যর্থ কংগ্রেস
প্রশান্ত কিশোর বিজেপি তথা মোদীকে সাফল্যের শিখরে নিয়ে যেতে সমর্থ হলেও কংগ্রেসকে সাফল্য দিতে পারেনি। উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনে প্রশান্ত কিশোরের স্ট্র্যাটেজিতে মুখ থুবড়ে পড়েছিল কংগ্রেস। তারপর জেডিইউ থেকেও তিনি তৃণমূলের ভোট কৌশলী হিসেবে কাজ শুরু করেন। এবং মাত্র চার মাসেই দলকে একটা ভরসা দিতে পেরেছেন।
বিজেপির মিত্র শক্তি জেডিইউ-এর সংস্পর্শে নেই
এখন তিনি বিজেপির মিত্র শক্তি জেডিইউ-এর সংস্পর্শ থেকে বেরিয়ে এসেছেন। এখন তাঁর পক্ষে একদিকে তৃণমূল আর অন্যদিকে ডিএমকে হ্যান্ডেল করা অনেক সহজ হবে। সমস্যা শুধু একটাই দুটি রাজ্যেই ভোট ২০২১-এ। এবার তৃণমূল ও ডিএমকের হয়ে তিনি কতটা সাফল্য আনতে পারেন, তা-ই দেখার।
তৃণমূলের দায়িত্ব নিয়ে উপনির্বাচনে পাস
সম্প্রতি বাংলায় তৃণমূলের প্রাথমিক ধাক্কা সামাল দিয়েছেন তিনি। প্রথম পরীক্ষা তিন কেন্দ্রের উপনির্বাচনে পাস করেছেন লেটার মার্কস নিয়ে। বিজেপির বাড়বাড়ন্তে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল হতাশায় চলে গিয়েছিল, সেই অবস্থা থেকে ফিরিয়ে এনে তিন কেন্দ্রেই জয়ের মুখ দেখিয়েছেন। তাঁকে ঘিরেই আশাবাদী তৃণমূল, এবার আশায় স্ট্যালিনও।