আসন্ন বিহার নির্বাচনে জেডিইউ-র জন্য বেশি আসন চেয়ে বিজেপিকে বিপাকে ফেললেন প্রশান্ত কিশোর
বিহার নির্বাচনে জেডিইউ-র জন্য বেশি আসন চান প্রশান্ত কিশোর
ঝাড়খণ্ডের ১১তম মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে রবিবার শপথ নিয়েছেন হেমন্ত সোরেন। বিজেপি গড়ে হেমন্তের সিংহাসনে আসীন হওয়ার দিনেই প্রতিবেশী রাজ্যতেও জোর ধাক্কা খেল বিজেপি। আসন্ন বিহার নির্বাচনে এনডিএ শরিক জেডিইউ-র হয়ে আসন ভাগাভাগির বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করার দাবি তুললেন দলের ভাইস প্রেসিডেন্ট তথা নির্বাচনী কৌশলী প্রশান্ত কিশোর।
ঘুঁটি সাজাচ্ছে জেডিইউ
সদ্য ঝাড়খণ্ডে ক্ষমতা হারিয়ে জখম বিজেপির বুকে এই দাবি যেন জোর বিঁধেছে। কয়েক মাস আগেই মহারাষ্ট্রে শরিক হারিয়ে ক্ষমতা থেকে দূরে চলে গিয়েছে বিজেপি। প্রশান্ত কিশোরের এই দাবিতে সেই আশঙ্কাই ফের ফিরে এল বিজেপি শিবিরে। মহারাষ্ট্রে এক কালে বড় দাদা হিসাবে থাকা শিবসেনাকে পিছনে ফেলে জোটের বড় দাদা হয়ে চেয়েছিল বিজেপি। তাতেই বাধে গণ্ডগোল। এখন বিহারে বিজেপি যাতে বড় দাদা না হয়ে উঠতে পারে তাই আগেভাগেই ঘুঁটি সাজাচ্ছে জেডিইউ।
প্রশান্ত কিশোরের বক্তব্য
এই বিষয়ে প্রশান্ত কিশোর বলেন, 'বেশি আশন চাওয়ার কোনও দরকার জেডিইউ-র নেই। বিহারে জেডিইউ সরকারের নেতৃত্বে রয়েছে। সেই সরকারকে বিজেপি সমর্থন জানিয়েছে। ২০২০ সালে হতে চলা নির্বাচনের আশন ভাগাভাগি নিয়ে যখন আলোচনা হবে তখন ২০০৯ ও ২০১৫ অনুযায়ী হবে।'
'বিজেপি থেকে বেশি আশন'
তিনি আরও বলেন, 'বর্তমানে এলজেপিও এনডিএ-র শরিক। তাই স্বভাবিক ভাবে বিজেপি ও জেডিইউ-র আশন ভাগাভাগি করা সম্ভব নয়। সেই ক্ষেত্রে আমার মনে হয় জেডিইউ-র বিজেপির থেকে বেশি আসনে লড়া উচিত। ২০১৫-তে আসন জয়ের নিরিখেও তাই হয়।'
২০১৫ সালের বিহার বিধানসভা নির্বাচনের ফল
প্রসঙ্গত, বিহার বিধানসভায় মোট ২৪৩টি আসন রয়েছে। ২০১৫ সালে কংগ্রেসের সঙ্গে মহাগটবন্ধনের অংশ হিসাবে নির্বাচনে লড়েছিল জেডিইউ। সেইবারে তারা ১০১টি আসনে লড়েছিল। সেই নির্বাচনে ৭১টি আসন জিতেছিল জেডিউ। বিজেপি জিতেছিল ৫৫টি আসনে। নির্বাচনে একক বৃহত্তম দল হিসাবে উঠে এসেছিল। তাদের ঝুলিতে ছিল ৮১টি আসন।
বিজেপির বক্তব্য
এদিকে প্রশান্ত কিশোরের এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বিজেপির মখপাত্র নিখিল আনন্দ বলেন, 'বিজেপি অনুশাসনে বিশ্বাস করে। অবান্তর কোনও বক্তব্য আমরা রাখি না যার কোনও ভিত্তি নেই। জেডিইউ-র সঙ্গে ২০২০ নির্বাচন বিষয়ক সকল আলোচনাই হবে শীর্ষ নেতৃত্বের মাঝে।'
মুখ খুলতে নারাজ অন্য জেডিইউ নেতারা
এদিকে জেডিইউ-র অন্দরেও প্রশান্ত কিশোরের এই মন্তব্যের বিষয়ে দোনামোনা রয়েছে। কয়েকজন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেডিইউ নেতা এই বিষয়ে বলেন, 'এটি প্রশান্ত কিশোরের ব্যক্তিগত মত।' তারা আরও জানান, ২০২০ নির্বাচন বিষয়ক সকল আলোচনাই হবে শীর্ষ নেতৃত্বের মধ্যে। সকল বিষয় তখনই চূড়ান্ত হবে।