মমতার সফরের আগে গোয়ায় মোদীর প্রশংসায় প্রশান্ত কিশোর! বিজেপি থাকছেই, ভোট কুশলীর ভবিষ্যদ্বাণী নিয়ে জল্পনা
মমতার সফরের আগে গোয়ায় মোদীর প্রশংসায় প্রশান্ত কিশোর! বিজেপি থাকছেই, ভোট কুশলীর ভবিষ্যদ্বাণী নিয়ে জল্পনা
প্রশান্ত কিশোরের (Prashant Kishor) সংস্থা আইপ্যাক (Ipac) তৃণমূলের (Trinamool Congress) হয়ে কাজ করছে গোয়ায়। সেই পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (mamata banerjee) গোয়ায় পৌঁছনোর আগেই সেখানে পৌঁছে গিয়েছেন ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর। সেখানে গিয়ে তিনি যা মন্তব্য করলেন, তা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে। প্রশান্ত কিশোর বলেছেন, আগামী কয়েক দশক ধরে ভারতীয় রাজনীতিতে একটি শক্তি হয়ে থাকবে বিজেপি (BJP)।
গোয়ায় গিয়েই রাহুল গান্ধীকে নিশানা
প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আইপ্যাক গোয়ায় তৃণমূলের হয়ে কাজ চালাচ্ছে। সেই সময়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সফরের আগে তিনি পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে গোয়ায় গিয়েছেন। আর সেখানে গিয়েই রাহুল গান্ধীকে নিশানা করেছে। তিনি বলেছেন, রাহুল গান্ধী একটা ভ্রমের মধ্যে রয়েছেন, যে ক্ষমতা থেকে নরেন্দ্র মোদীর সরে যাওয়া সময়ের অপেক্ষা। শুধু রাহুল গান্ধীই নয়, আঞ্চলিক কংগ্রেস নেতাদের ধারনাও রাহুলের মতোই, বলেছেন প্রশান্ত কিশোর। যার আপাতত কোনও সম্ভাবনা নেই বলে মন্তব্য করেছেন প্রশান্ত কিশোর।
আগামী কয়েক দশকের জন্য রাজনীতিতে শক্তিমান বিজেপি
প্রশান্ত
কিশোর
বলেছেন,
আগামী
কয়েক
দশক
জাতীয়
রাজনীতিতে
শক্তিমান
থাকবে
বিজেপি।
তারা
জিতুক
কিংবা
হারুক,
কংগ্রেসের
কাছে
বিজেপি
অন্তত
সামনের
৪০
বছরের
জন্য
শক্তি
হিসেবে
থেকে
যাবে
বলেও
মন্তব্য
করেছেন
প্রশান্ত
কিশোর।
যদি
তারা
সর্বভারতীয়
পর্যায়ে
৩০
শতাংশ
ভোট
পেতে
থাকে,
তাহলে
খুব
তাড়াতাড়ি
তাদের
হারিয়ে
যাওয়ার
কোনও
সম্ভাবনা
নেই
বলেও
মন্তব্য
করেছেন
প্রশান্ত
কিশোর।
প্রশান্ত
কিশোর
বলেছেন,
মানুষ
ক্রমেই
ক্ষেপে
যাচ্ছে
এবং
তারা
মোদীকে
ফেলে
দেবে
এই
ধারনা
ভুল।
বিষয়টি
অনেকটাই
ফাঁদের
মতো
বলেও
মন্তব্য
করেছেন
তিনি।
মানুষ
মোদীকে
হারি.ে
দিতে
পারে,
কিন্তু
বিজেপি
কোথাও
যাবে
না।
ফলে
বিজেপি
বিরোধীদের
কয়েক
দশক
ধরে
লড়াই
চালিয়ে
যেতে
হবে।
মোদীর শক্তি ব্যাখ্যা
রাজনীতিতে
মোদীর
শক্তি
সম্পর্কে
প্রশান্ত
কিশোর
বলেছেন,
কেউ
যদি
তাঁর
শক্তি
পরীক্ষা
না
করেন,
না
বোঝেন
এবং
উপলব্ধি
না
করেন,
তাহলে
কখনই
তাঁকে
পরাজিত
করার
জন্য
পাল্টা
কিছু
করতে
পারবেন
না।
তিনি
বলেছেন,
বেশিরভাগ
মানুষই
তাঁর
(মোদীর)
শক্তি
বোঝার
জন্য
সময়
ব্যয়
করতে
চান
না।
কেন
তিনি
জনপ্রিয়
তা
বুঝতে
চান
না।
যদি
তা
বুঝতে
পারেন,
তবেই
তাঁর
মোকাবিলা
করা
যাবে
বলেছেন
তিনি।
প্রশান্ত
কিশোর
বলেছেন,
দেশে
লড়াই
হচ্ছে
এক
তৃতীয়াংশের
সঙ্গে
দুই
তৃতীয়াংশের।
এক
তৃতীয়াংশ
মানুষ
বিজেপিকে
চাইছে।
বিপক্ষে
দুই
তৃতীয়াংশ
ভোট
থাকলে,
বহু
ভাগে
বিভক্ত
হওয়ায়
বিরোধীরা
পেরে
উঠছে
না।
এটাও
কংগ্রেসের
না
পেরে
ওঠার
অন্যতম
কারণ।
ভোট কুশলী হিসেবে নিজের অবস্থান জোরদার
একটা সময়ে ছিলেন বিজেপির ভোট কুশলী। কাজ করেছে বিহারের নীতীশ কুমারের হয়ে। এরপর বহুচর্চিত বাংলার বিধানসভা নির্বাচন। যে নির্বাচনে বিজেপি সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। কিন্তু প্রশান্ত কিশোর শুরু থেকেই বলেছিলেন, বিজেপি তিন অঙ্কে পৌঁছতে পারবে না। আর ফল বেরনোর পর দেখা গেল অনেক আগেই থেমে গিয়েছে বিজেপি। যার জেরে ভোট কুশলী হিসেবে নিজের অবস্থানকে আরও শক্ত করেছেন প্রশান্ত কিশোর।