প্রশান্ত কিশোরের দুই লাইনের 'শক্তিশেল' নীতীশের দিকে! বিহারের মুখ্যমন্ত্রীকে দিনের শেষে তুমুল তোপ
দিনভর তিনি শুভেচ্ছা বার্তা পেয়েছেন। সপ্তমবারের জন্য বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর মসনদে বসে শত্রু , মিত্র দুই শিবির থেকেই নীতীশ কুমার একাধিক বার্তা পেয়েছেন। তবে দিনের শেষে কার্যত জোরালো রাজনৈতিক পাঞ্চ এলো তাঁর প্রাক্তন দলীয় কর্মী তথা ভোট বিশেষজ্ঞ প্রশান্ত কিশোরের কাছ থেকে।
২০১৫ এর সঙ্গে ২০২০ তে কী বার্তা দিলেন?
২০১৫ বিহার নির্বাচনে প্রশান্ত কিশোর ছিলেন জেডিইউ নেতা নীতীশ কুমারের ভোট স্ট্র্যাটেজিস্ট। দলীয় কাজে ঘনিষ্ঠতা এতটাই বাড়ে যে জেডিইউতে যোগ দেন প্রশান্ত। সম্পর্ক গাঢ় হয়। কিন্তু মোদী বিরোধিতার সুর ধরে ২০২০ বিহার নির্বাচনের আগে সেই সম্পর্কে চিড় ধরে। প্রশান্তের, মোদী তথা বিজেপি বিরোধিতা মেনে নেননি নীতীষ। কার্যত প্রশান্তকে জেডিইউ ছাড়তে বলেন নীতীশ। এরপর থেকে শুরু হয় অন্য এক অধ্যায়।
নীতীশকে প্রশান্ত বার্তা
এদিকে, এদিন মুখ্যমন্ত্রী পদে নীতীশ কুমারের শপথের পর তাঁকে 'রাজনৈতিকভাবে তুচ্ছ' , 'ক্লান্ত নেতা' বলে টুইট বাণ দাগেন প্রশান্ত। নীতীশকে লক্ষ্য করে প্রশান্ত কিশোর লেখেন, ' শুভেচ্ছা নীতীশ কুমারকে বিজেপির দ্বারা মনোনীত হয়ে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেওয়ার জন্য।' এই চরম খোঁচার পরও আক্রমণ শানাতে ছাড়েননি পিকে।
শক্তিশেল কিশোরের
'একজন ক্লান্ত, রাজনৈতিকভাবে তুচ্ছ হয়ে যাওয়া নেতাকে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে পেয়ে বিহারকে তৈরি হতে হবে আগামী কয়েক বছরের জন্য..' এই বার্তা দিয়ে প্রশান্ত কিশোর নীতীশ সরকারকে 'লাকস্টার সরকার' বা ভাগ্যের জোরে সরকারের গদি পাওয়া এক অস্তিত্ব বলে ব্যাখ্যা করেন। যে বার্তা কার্যত কাঁটার মতো জেডিইউ শিবিরকে বিঁধছে।
বিহার নির্বাচন, পিকে চমক ও নীতীশ
ভারতীয় রাজনীতিতে কার্যত ১০০ শতাংশ স্ট্রাইক রেট নিয়ে প্রশান্ত কিশোর একের পর এক ভোটে তাক লাগিয়েছেন। ২০১৫ সালে বিহারে য়ুযুধান দুই পক্ষ, লালু নীতীশকে একজোট করে ভোটে মহাজোটকে জেতান তিনি। নীতীশ মুখ্যমন্ত্রী হন। তবে এখন বিরোধী শিবিরের প্রতিনধি প্রশান্ত। আসন্ন ২০২১ এ তাঁর সামনে বিজেপি প্রধান প্রতিপক্ষ , কারণ তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ট্র্যাটেজিস্ট এই ভোটে। ফলে আজ নীতীশের প্রতি তাঁর বার্তা বেশ তাৎপর্য পূর্ণ ছিল।