মোদী সরকারের মাস্টারস্ট্রোক! গেরুয়া শিবিরকে খোঁচা দিয়ে প্রশান্ত কিশোরের ঝোড়ো টুইট
এককালে প্রশান্ত কিশোর ছিলেন তাঁর ভোট সারথী। ২০১৪ সালে লোকসভা ভোটের দৌড়ে মোদীর ভোট স্ট্র্যাটেজির ঘুঁটি ধীরে ধীরে সাজিয়েছিলেন তিনি। এরপর রাজনীতির ছন্দে বদলাতে থাকে সমীকরণ। আর ২০২১ সালে এসে সেই প্রশান্ত কিশোরই মোদী বিরোধিতার পারদ তুঙ্গে রেখেছেন। ২০২১ বিধানসভা ভোটে মমতার ভোট স্ট্র্যাটেজিস্ট প্রশান্ত কিশোর এদিন মোদী সরকারকে একহাত নিলেন পিএম কেয়ার্সের সাম্প্রতিক ঘোষণা ইস্যুতে।
'মাস্টারস্ট্রোক' কটাক্ষ
কার্যত খোঁচার সুরেই আজ প্রশান্ত কিশোর মোদীর ঘোষিত পিএম কেয়ার্সের প্রকল্পকে টার্গেট করেন। 'আরেকটি এক্কেবারে মাস্টারস্ট্রোক মোদী সরকারের হাত ধরে', এমন কটাক্ষবাণেই শুরু হয় প্রশান্ত কিশোরের বক্তব্য। প্রশান্তের বার্তা, কোভিড পরিস্থিতি সামলাতে যখন সম্পূর্ণ ব্যর্থ মোদী সরকার, তখন কোভিডে প্রবলভাবে ভারাক্রান্ত শিশুদের প্রতি সহমর্মিতা দেখানোর চেষ্টা করছে মোদী সরকার।
ক্রমাগত তোপ
প্রশান্ত কিশোর তাঁর টুইটে এরপর লেখেন, তৎক্ষণাৎ সহায়তা যখন প্রয়োজন কোভিডে পিতা মাতা হারা অনাথ শিশুদের , তখন ১৮ বছর বয়সে গিয়ে এই অনাথরা স্টাইপেন্ড পাবে। এই ঘটনাকে কটাক্ষের সুরে মোদী সরকারর মাস্টার স্ট্রোক বলে দাবি করেন প্রশান্ত কিশোর।
একচুল জমি ছাড়েননি প্রশান্ত!
টুইট পোস্টে পর পর তোপ দাগেন প্রশান্ত কিশোর। পিএম কেয়ার্সের আওতায় অনাথ শিশুদের যে বিনামূল্যের শিক্ষার ঘোষণা মোদী সরকার করেছে, তা নিয়ে তোপ দেগে প্রশান্ত কিশোর বলেন , এটি সংবিধানের আওতাভূক্ত একটি অধিকার। ফলে তাঁর দাবি, এটা নিয়ে সরকারের 'পিএম কেয়ার্স'-র এর আলাদা করে নাম হওয়া কাম্য নয়।
'শুধু অক্সিজেন আর বেড দিতে পারল না'
নিজের টুইটে প্রশান্ত কিশোর একধাপ এগিয়ে কটাক্ষবাণ আরও বিষাক্ত করেন। তিনি বলেন, আয়ুষ্মান ভারত ৫০ কোটি ভারতবাসীর স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় সাহায্য করার কথা। এবিষয়ে প্রতিশ্রুতিও ছিল। তবে প্রয়োজনে মানুষ বেড আর অক্সিজেন পাননি। এই বক্তব্য পেশ করেই কার্যত মোদী সরকারের দিল্লির মসনদে ৭ বছর পূর্তির প্রেক্ষাপটে কোভিড ইস্যুতে খোঁচা দিতে ছাড়েননি প্রশান্ত কিশোর। উল্লেখ্য, এই ভোট স্ট্র্যাটেজিস্টের হাত ধরেই মোদী প্রথমবার প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেন।