মোদীর ভারতে নিশ্চিন্তে শ্বাস নিতেও পারছেন মানুষ! দেশের হাহাকার প্রশান্ত-টুইটে
মোদীর ভারতে নিশ্চিন্তে শ্বাস নিতেও পারছেন মানুষ! দেশের হাহাকার প্রশান্ত-টুইটে
দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে। অক্সিজেনের অপ্রতুলতায় দেশের চিকিৎসা পরিকাঠামোর কঙ্কালসার চেহারা বের হয়ে গিয়েছে। মানুষ অক্সিজেনের জন্য হাহাকার করছে। এই পরিস্থিতিতে নরেন্দ্র মোদী সরকার কোনও দিশা দেখাতে পারেননি। তাই তাঁর সমালোচনায় আবারও মুখর হলেন তৃণমূলের ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোর।
মানুষ শ্বাস নিয়ে বাঁচতে পারছে না, দেশে হাহাকার
প্রশান্ত কিশোর তাঁর টুইটার হ্যান্ডেলে লেখেন, নরেন্দ্র মোদী স্যার, হাজারো লোক বলছেন- আমরা শ্বাস নিতে পারছি না। ধৈর্য্য ধরতে অন্তত অক্সিজেন তো চাই। প্রশান্ত কিশোর তাঁর ছোট্ট টুইটে বুঝিয়ে দিয়েছেন সারা দেশ কী বলতে চাইছে। আর আমাদের সরকার কোথায় ব্যর্থ। এই সরকারের আমলে মানুষ শ্বাস নিয়ে বাঁচতে পারছে না।
শ্বাস নিতে সিলিন্ডারের অক্সিজেনও অপ্রতুল দেশে
করোনার মহামারীর আবহে দেশে মুক্ত বাতাস নেই, হাসপাতালে অক্সিজেন নেই। প্রকৃতির দূষিত বাতাসে একটু শ্বাস নিতে সিলিন্ডারের অক্সিজেনও অপ্রতুল। এই অবস্থায় মানুষ তাহলে সরকারের কাছে কী চাইবে। এখনও পর্যন্ত সরকার কোনও সঠিক দিশা দেখাতে পারেনি দেশবাসীকে। প্রধানমন্ত্রী লড়াইয়ের বার্তা দিয়েই ক্ষান্ত।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দূরদৃষ্টতার অভাব রয়েছে
করোনার দ্বিতীয় ওয়েভের ঝাপটায় দেশ যখন ধুঁকছে, তখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জাতির উদ্দেশে ভাষণে করোনার মোকাবিলায় চ্যালেঞ্জ নিয়ে লড়াইয়ের বার্তা দিয়েছেন। তারপরও ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোরের মোদীকে নিশানায় বাণ ছেড়েছিলেন বলেছিলেন, করোনা সঙ্কট মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দূরদৃষ্টতার অভাব রয়েছে। তিনি সমস্যাকে এড়িয়ে গিয়েছেন।
শ্বাস নিয়ে বাঁচার দিশা দিতে পারেননি মোদী
দেশের বুকে ভয়ঙ্কর রূপ নিয়েছে করোনার সেকেন্ড ওয়েভ। একদিনে তিন লক্ষেরও বেশি আক্রান্ত। একদিনে প্রাণ চলে গিয়েছে দু-হাজারেরও বেশি মানুষের। মানুষ প্রধানমন্ত্রীর মুখ থেকে তাই ভরসার কথা শুনতে চেয়েছিলেন। কিন্তু শ্বাস নিয়ে বাঁচার দিশাও তিনি দিতে পারেননি। তাঁর কথায় অনেক অস্পষ্টতা রয়ে গিয়েছে।
মোদী ক্রেডিট নেন কিছু না করেই, অভিযোগ পিকের
প্রশান্ত কিশোর মনে করেন, দেশ যখন সমস্যায় থাকে তখনই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সেই সমস্যার ভার অন্যের উপর চাপিয়ে দিয়ে পালিয়ে যেতে চান। আর পরিস্থিতি উন্নতি হলে ক্রেডিট নিতে তিনি সামনের সারিতে চলে আসেন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁর অনুগামীরা নেমে পড়েন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে সমস্ত ক্রেডিট দিতে। এমতাবস্থায় চরম কটাক্ষ ধেয়ে এল ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোরের কাছ থেকে।