নীতীশের শাসনে 'কালি'! বিহারের 'জঙ্গলরাজে'র ছবি শেয়ার করলেন প্রশান্ত কিশোর
বিহারের (Bihar) উন্নয়ন আর অগ্রগতি নিয়ে নীতীশ কুমারের (Nitish Kumar) দাবি মিথ্যা। তারই সমর্থনে ছবি শেয়ার করলেন একসময়ে নীতীশ কুমারের দলের নেতা তথা ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর (Prashant Kishor)। মধুবনী জেলায় জনসুরজ যাত্রার
বিহারের (Bihar) উন্নয়ন আর অগ্রগতি নিয়ে নীতীশ কুমারের (Nitish Kumar) দাবি মিথ্যা। তারই সমর্থনে ছবি শেয়ার করলেন একসময়ে নীতীশ কুমারের দলের নেতা তথা ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর (Prashant Kishor) । মধুবনী জেলায় জনসুরজ যাত্রার সময় জাতীয় সড়কের ছবি শেয়ার করে প্রশান্ত কিশোর কটাক্ষ করে বলেছেন, এই ছবি ৯০ -এর দশরের জঙ্গলরাজের (Jungle raj) অবস্থা স্মরণ করিয়ে দেয়।
|
মধুবনীর রাস্তার ছবি শেয়ার
পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলের জয়ের পরে প্রশান্ত কিশোর বলেছিলেন, তাঁকে নতুন ভূমিকায় দেখা যাবে। এই মুহূর্তে তিনি বিহারে জনসুরজ যাত্রা করছেন। তিনি পুরদস্তুর রাজনীতিক হিসেবে নামতে চান। নিজের পক্ষে সমর্থন মেপে দেখতে বিহারের জেলায় জেলায় সফর করছেন তিনি। সেই সফরেই মধুবনী জেলার মধ্য দিয়ে যাওয়া জাতীয় সড়কের একটি ছবি শেয়ার করেছেন।। সেখানে তিনি বলেছেন এই ছবি তাঁকে ১৯৯০-এর জঙ্গলরাজের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে। কটাক্ষ করতে গিয়ে তিনি বলেছেন, নীতীশজি সম্প্রতি সড়ক নির্মাণ দফতরের আধিকারিকদের বলেছিলেন, রাজ্যের রাস্তাগুলি সম্পর্কে তাদের অবশ্যই জনগণকে জানাতে হবে।
বিহারের 'জঙ্গলরাজ'
সাধারণভাবে বিহারে লালু যাদব এবং রাবড়ি দেবীর শাসনের সময়কেই জঙ্গল রাজ বলা হয়ে থাকে। লালু যাদব বিহার শাসন শুরু করেছিলেন ১৯৯০-এ। পরবর্তী সময়ে পশু খাদ্য মামলায় জেলে যাওয়ার রাবড়ি দেবী মুখ্যমন্ত্রী হন। ২০০৫ পর্যন্ত শাসন করেন রাবড়ি দেবী। এরপর ২০০৫ সালে নীতীশ কুমারের নেতৃত্বে এনডিএ জোট বিহারে ক্ষমতায় আসে। লালু যাদব ও রাবড়ি দেবী ক্ষমতায় থাকার সময়ে অভিযোগ উঠত অনাচার আর বেহাল রাস্তা নিয়ে।
বিহারের মানুষকে হতাশ করেছেন নীতীশ
শুধু লালু যাদবই নন, নীতীশ কুমারও রাজ্যের মনুষকে হতাশ করেছেন বলে মনে করেন প্রশান্ত কিশোর। প্রসঙ্গত ভোট কুশলী হিসেবে প্রশান্ত কিশোর ২০১৫-তে তৎকালীন লালু-নীতীশের জোটকে ভোটে জেতার ব্যাপারে সাহায্য করেছিলেন। প্রশান্ত কিশোর আনুষ্ঠানিকভাবে নীতীশ কুমারের দলে যোগ দিয়েছিলেন। নীতীশ কুমার তাঁণকে দলের সহসভাপতিও করেছিলেন।
উত্তর দিয়েছে সড়ক পরিবহণমন্ত্রক
রাস্তার খারাপ অবস্থা নিয়ে রাজ্য সরকারের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া না গেলেও, সড়ক পরিবহণ মন্ত্রক সংবাদ মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে উল্লিশিত রাস্তাটি ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটি অভ ইন্ডিয়া করবে। তবে রাস্তাটি এখন রাজ্য সরকার হস্তান্তর করেনি। রাস্তার কাজ ২ সপ্তাহের মধ্যেই শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
ভোট কুশলী হিসেবে প্রশান্ত কিশোরের নাম প্রথমবার সামনে আসে ২০১৪-তে। নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরে। তারপর থেকে প্রশান্ত কিশোর বিভিন্ন জলের সঙ্গে চুক্তি বদ্ধ হয়েছেন। সাফল্য এনেছেন, তৃণমূলের এবং ডিএমকের। আবার ২০১৭ সালে তাঁর সঙ্গে চুক্তি করে কংগ্রেস উত্তর প্রদেশে কিছুই করতে পারেনি।