
নতুন দল গঠন নিয়ে উত্তর দিলেন প্রশান্ত কিশোর! মহাত্মা গান্ধীর জন্মদিনে শুরু করবেন ৩০০০ কিমির পদযাত্রা
আপাতত সারা ভারত নয়, বিহারই (Bihar) তাঁর লক্ষ্য। আপাতত কোনও রাজনৈতিক দল তৈরির কথা না ঘোষণা করলেন সুশাসনের লক্ষ্যে তিনি কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর (Prashant Kishor)। যার জন্য বিহারের পশ্চিম চম্পারণ থেকে ২ অক্টোবর তিনি ৩ হাজার কিমির পদযাত্রা (Padya yatra) শুরু করবেন।
|
এখনই কোনও দল গঠন নয়
প্রশান্ত কিশোর এদিন সাংবাদিক সম্মেলন করে জানিয়েছেন, আপাতত তিনি কোনও রাজনৈতিক দল গঠন করছেন না। তবে ১৭ হাজার মানুষের সঙ্গে তিনি কথা বলবেন। সবাই একসঙ্গে মিলে দল গঠনের জন্য তৈরি হলে তা বিবেচনা করা হবে। সেই দলে শুধু তাঁর নয়, সবার অবদান থাকবে বলেও জানিয়েছন তিনি। তিনি যদি ভবিষ্যতে কোনও রাজনৈতিক দল গঠনের সিদ্ধান্ত নেন, , তাহলে তা প্রশান্ত কিশোরের দল নয়, জনগণের দল হবে। প্রশান্ত কিশোর বলেছেন, আগামী তিন-চার বছর বিহারে কোনও নির্বাচন নেই। তাই এখন দল গঠনের কথা তিনি ভাবছেন না। এই সময়ের মধ্যে তিনি বিহারের মানুষের কাছে পৌঁছনোর চেষ্টা করবেন। গ্রাম থেকে গ্রামে যাওয়ার কথা জানিয়ে প্রশান্ত কিশোর বলেছেন, ২ অক্টোবর বিহারের পশ্চিম চম্পারণ থেকে ৩ হাজার কিমির পদযাত্রা শুরু করবেন।

লালু-নীতীশের দীর্ঘ শাসনের বিহার পিছিয়ে পড়া রাজ্য
এখন নীতীশ কুমারের দলে না থাকলেও তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক অটুট। নীতীশ কুমারকে বিহারের শাসন ক্ষমতায় ফেরাতে তাঁর অবদান থাকলেও এদিন প্রশান্ত কিশোর বলেছেন লালু-নীতীশের ৩০ বছর শাসনের পরেও বিহার দেশের সব থেকে পিছিয়ে পড়া রাজ্য। উন্নয়নের মাপকাঠিতে বিহার দেশের সব থেকে নিচে রয়েছে। সেই বিহার যদি আগামী দিনে নেতৃত্ব দেওয়ার মতো জায়গায় আসতে চায়, তাহলে নতুন চিন্তা এবং নতুন চেষ্টার প্রয়োজন বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। নীতীশ কুমার তাঁর বাবার মতো, কিন্তু তাই বলে এই নয় তিনি আলাদা করে কোনও কর্মসূচি করতে পারবেন না।
প্রশান্ত কিশোর বলেছেন আগামী ১০-১৫ বছরে বিহারকে যদি পরিবর্তন করতে হয়, তাহলে এই মুহূর্তে রাজ্য যে পথে হাঁটছে সেই পথে লক্ষ্যে পৌঁছনো যাবে না। তিনি বলেন, কেউ জাবি করতেই পারেন, চিন্তাভাবনা এবং উদ্ভাবনের ক্ষমতা যে কারও কাছে রয়েছে। তিনি উন্নয়নের ব্যাপারে বিহারের প্রতিটি মানুষের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন।

কথা হবে সাড়ে ১৭ হাজার মানুষের সঙ্গে
প্রশান্ত কিশোর বলেছেন, তাঁর সংস্থা প্রায় সাড়ে ১৭ হাজার মানুষকে চিহ্নিত করেছেন। প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষ বিশ্বাস করেন, বিহারের জন্য নতুন চিন্তাভাবনার প্রয়োজন। যাঁদের সঙ্গে তিনি দেখা করবেন। সুশাসনের চিন্তাকে ফলপ্রসূ করতে কথা হবে। গত তিন দিনে তিনি অন্তত দেড়শোজনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বলে জানিয়েছেন।
|
প্রশান্ত কিশোরের মুখে জাতপাতের রাজনীতি
প্রশান্ত কিশোর বিহারের জাতপাতের রাজনীতি নিয়েও এদিন তাঁর অবস্থান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, অনেকেই বিশ্বাস করেন, বিহারে জাতপাতের ভিত্তিতেই ভোট পাওয়া যায়। কিন্তু তিনি জাত নয়, সমাজের সব অংশের মানুষকে সংযুক্ত করার চেষ্টা করছেন। নতুন পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করতে করোনা শেষের অপেক্ষা তিনি ছিলেন বলেও জানিয়েছেন। করোনার সময় এই যাত্রা শুরু করলে মানুষ তাঁকে প্রশ্ন করত। কংগ্রেসে যোগ না দেওয়ার প্রসঙ্গে প্রশান্ত কিশোর বলেছেন, তারা তাঁকে (প্রশান্ত কিশোর) এমপাওয়ার্ড অ্যাকশন গ্রুপে যোগ দিতে আহ্বান করেছিল। কিন্তু কংগ্রেসের সংবিধানে এর কোনও মর্যাদা নেই।
তৃতীয় সন্তানের জন্মে উৎসাহ! প্রতিবেশী দেশে দেওয়া হচ্ছে লক্ষ-লক্ষ টাকার নগদ ও এক বছরের ছুটি