প্রশাসনের 'বাধা'র মধ্যেও ত্রিপুরায় চক্কর আইপ্যাকের! প্রাথমিক রিপোর্টে চাঞ্চল্যকর তথ্য
ত্রিপুরায় (tripura) রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আইপ্যাকের (ipac) টিমকে বাধা দেওয়ার অভিযোগের পরেও ১০ জনের টিম বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বিভিন্ন পেশার লোকজনের সঙ্গে কথা বলে প্রাথমিক রিপোর্ট তৈরি করে ফেলেছে বলে স্থানীয় সূত্রে দাব
ত্রিপুরায় (tripura) রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আইপ্যাকের (ipac) টিমকে বাধা দেওয়ার অভিযোগের পরেও ১০ জনের টিম বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বিভিন্ন পেশার লোকজনের সঙ্গে কথা বলে প্রাথমিক রিপোর্ট তৈরি করে ফেলেছে বলে স্থানীয় সূত্রে দাবি করা হয়েছে। সেই রিপোর্টে উঠে এসেছে, ত্রিপুরা থেকে বিজেপিকে (bjp) সরাতে গেলে বৃহত্তর জোট তৈরি জরুরি।
বিজেপিকে সরানোর মতো রাজনৈতিক শক্তি নেই
আইপ্যাকের টিমকে উদ্ধৃত করে সূত্রের খবর, ত্রিপুরায় প্রতিষ্ঠান বিরোধী হাওয়া থাকলেও, বিজেপিকে সরানোর মতো কোনও রাজনৈতিক শক্তি এখনও নেই। বিজেপিকে সরাতে প্রয়োজন বিকল্প রাজনৈতিক দল এবং নেতা। পাশাপাশি বিজেপিকে সরাতে বৃহত্তর জোট তৈরির কথাও নাকি তারা বলেছেন।
পার্বত্য অঞ্চলে প্রদ্যোতই শক্তি, জনপ্রিয়তা হ্রাস সুদীপ রায় বর্মনের
সমীক্ষক দল দেখেছে ত্রিপুরার পার্বত্য অঞ্চলে তিপ্রামথার সুপ্রিমো প্রদ্যোত রাজ্যের অন্যতম রাজনৈতিক শক্তি। যিনি একাই বিজেপিকে সরাতে অনেকটাই ভূমিকা নিতে পারেন। অন্যদিকে বিজেপিতে বিক্ষুব্ধ বলে পরিচিত সুদীপ রায় বর্মন ভাল নেতা হলেও তাঁর জনপ্রিয়তা কমেছে। কারণ মানুষের আস্থা কমেছে তাঁর ওপর থেকে। একাধিকবার দল বদল করেছেন তিনি। কংগ্রেস থেকে তৃণমূল। আবার সেখান থেকে বিজেপি। মধ্যে তৃণমূলে ফিরবেন বলে জল্পনা তৈরি হয়েছিল। মানুষ বারে বারে দলবদল মেনে নিতে পারেনি।
মানুষ তৃণমূলকে চাইলেও, নেতৃত্বের অভাব
সমীক্ষকদের তরফে আরও দাবি করা হয়েছে, মানুষ বিজেপির বিকল্প হিসেবে বামফ্রন্টকে নয়, তৃণমূলকে চাইছে। যদিও তৃণমূলে যোগ্য নেতৃত্বের অভাব রয়েছে। তৃণমূলকে রাজ্যে মাথা তুলতে গেলে নতুন মুখের প্রয়োজন বলে মন্তব্য করা হয়েছে। যাঁদের বিরুদ্ধে মানুষ কিছু বলতে পারবে না এমন মুখের প্রয়োজন। এই ধরনের মুখের পিছন অভিজ্ঞ নেতাদের রাখার কথা বলা হয়েছে। সেটা করা গেলেই ত্রিপুরায় তৃণমূল শক্তি বাড়াতে পারবে।
প্রথম রাউন্ডের কাজ শেষ
ত্রিপুরায় আইপ্যাকের টিমের নেতৃত্বে রয়েছেন শিবেন সিং। তাঁর নেতৃত্বেই ১০ জনের দল ইতিমধ্যেই আটটি জেলায় তাঁদের প্রথম রাউন্ডের কাজ শেষ করে ফেলেছেন। সূত্রের খবর অনুযায়ী, এখনও দুই রাউন্ডের কাজ তারা করবেন। তারপরেই রাজ্য সম্পর্কে চূড়ান্ত রিপোর্ট তৈরি করা হবে।
এদিকে এদিন ত্রিপুরায় তৃণমূলের বৈঠ শুরুর আগেই হোটেলে হানা দেয় পুলিশ। বৈঠকে কারা ডেকেছেন, কারা থাকছেন, তা জানতে চায় পুলিশ। হোটেল মালিককেও জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। হোটেল মালিক বলেন, বৈঠকে তৃণমূলের তরফে ৩০ জন থাকার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু বেশি কর্মী-সমর্থক সমবেত হওয়ায় পুলিশ অনুমতিপত্র দেখতে চায়।