প্রশান্ত কিশোর রাজনীতির 'পাঠ' দিলেন মুখ্যমন্ত্রীকে! করোনা লকডাউনে জোর চর্চা
ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোর ফের নিশানা করলেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে। শনিবার বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে একহাত নেন প্রশান্ত কিশোর।
ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোর ফের নিশানা করলেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে। শনিবার বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে একহাত নিয়ে প্রশান্ত কিশোর বলেন, রাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিকরা দেশের বিভিন্ন স্থানে আটকে পড়েছে। জেডিইউ প্রধান তথা বিহারের মুখ্যমন্ত্রী এই বিষয়ে নিশ্চুপ। উল্টে তিনি লকডাউনের নীতিগুলি নিয়ে শিক্ষা দিচ্ছেন বলে ্ভিযোগ পিকের।
নীতীশ কুমারকে একহাত প্রশান্ত কিশোরের
প্রশান্ত কিশোর নীতীশের পার্টি জেডিইউয়ের সহ সভাপতি ছিলেন। সম্প্রতি দিল্লি নির্বাচনের প্রাক্কালে সিএএ সমর্থন নিয়ে মতানৈক্যের জেরে উভয়ের মধ্যে বিচ্ছেদ হয়ে যায়। নীতীশ কুমার তাঁর দল থেকে অপসারিত করেন প্রশান্ত কিশোরকে। তারপর থেকেই উভয়ের মধ্যে রাজনৈতিক চাপানউতোর লেগেই রয়েছে।
পরিযায়ী শ্রমিকদের উদ্ধার প্রসঙ্গে প্রশান্ত কিশোর
এবার করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে লকডাউন নিয়ে নীতীশ কুমারকে একহাত নিলেন প্রশান্ত কিশোর। তিনি বলেন, বিহারের লোকেরা দেশজুড়ে বিভিন্ন রাজ্যে আটকে পড়েছে। আর এখন নীতীশ কুমার লকডাউনের নীতিতে পাঠ দিচ্ছেন। অন্যান্য রাজ্য সরকার হয়তো কিছু করছেন, কিন্তু নীতীশ সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলির সঙ্গে কোনও যোগাযোগই করেননি।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকেও নিশ্চুপ নীতীশ, অভিযোগ
প্রশান্ত কিশোরের অভিযোগ, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকেও এই বিষয়টি উত্থাপন করেননি। টুইট করে তিনি এই অভিযোগ করেন। প্রশান্ত কিশোর জেডিইউ সভাপতির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, লকডাউনের বাজারে ভিনরাজ্যে বিহারী শ্রমিকরা কী খাচ্ছেন, কেমন করে থাকছেন, তা নিয়ে কোনও উদ্বেগ নেই তাঁর।
করোনা লকডাউনে সক্রিয় পিকে
উল্লেখ্য, করোনা ভাইরাসের জেরে দেশজুড়ে লকডাউনের বাজারে প্রশান্ত কিশোর মানুষের মুখে অন্ন তুলে দেওয়ার জন্য কাজ করছেন। দেশের ৩৩টি শহরে তিনি সাড়ে ১৬ লক্ষ মানুষকে খাওয়ালেন ১১ দিন ধরে। লকডাউনের প্রথম পর্বে তিনি তাঁর ‘সব কি রসোই' নিয়ে বাজিমাতও করলেন। তারপরই তিনি হুঙ্কার ছাড়লেন নীতীশ কুমারের প্রতি।