বিজেপির পক্ষে কাজ করছেন প্রশান্ত কিশোর! বিস্ফোরক অভিযোগ নীতীশ কুমারের জেডিইউ-এর
বিজেপির হয়ে কাজ করছেন প্রশান্ত কিশোর। এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ তুলল নীতীশ কুমারের জেডিইউ। বিহারের জোট সরকারের অন্যতম দল জেডিইউ-এর তরফে প্রশান্ত কিশোরের জন সুরজ যাত্রার তহবিলের উৎস নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে। জেডিইউ-এর
বিজেপির হয়ে কাজ করছেন প্রশান্ত কিশোর। এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ তুলল নীতীশ কুমারের জেডিইউ। বিহারের জোট সরকারের অন্যতম দল জেডিইউ-এর তরফে প্রশান্ত কিশোরের জন সুরজ যাত্রার তহবিলের উৎস নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে। জেডিইউ-এর রাজ্য সভাপতি রাজীবরঞ্জন সিং প্রশান্ত কিশোরের রাজ্যব্যাপী পদযাত্রারও কটাক্ষ করেছেন।
প্রচারে পুরনো অভিযোগই নীতীশের বিরুদ্ধে
বিহারের বক্সা জেলার বাসিন্দা প্রশান্ত কিশোর বিহার ব্যাপী জন সুরজ যাত্রায় নীতীশ কুমারের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ তুলছেন। যে অভিযোগ বিজেপির সঙ্গে থাকার সময়ে আরজেডি-কংগ্রেস-বামেরা তুলেছিল। নীতীশ কুমার বিহারে সুশাসনের দাবি করেন, কিন্তু তিনি এক দশকের বেশি সময় মুখ্যমন্ত্রীর পদে থাকলেও, বিহার কেন পিছিয়ে?
বিজেপিকে সাহায্য
প্রশান্ত কিশোরের প্রশ্ন আর অভিযোগের জবাব দিতে গিয়ে জেডিইউ বলছে, নীতীশ কুমারের শাসনে বিহারের কী অগ্রগতি হয়েছে, তা রাজ্যের জনগণ জানে। তার জন্য তাদের প্রশান্ত কিশোরের শংসাপত্রের দরকার নেই। জেডিইউ-এর মুখপাত্র বলেছেন, প্রশান্ত কিশোর তাঁর প্রচারে যে কোনও নাম বেছে নিতেই পারেন। তবে তার প্রচারের মনে হচ্ছে, বিজেপিকে সাহায্য করছেন তিনি।
অর্থ দিচ্ছে কেন্দ্রের শাসক দল
জেডিইউ মুখপাত্র বলেছেন, প্রশান্ত কিশোর তাঁর প্রচারে যে অর্থ খরচ করছেন, তাতে নানা সন্দেহ দেখা দিচ্ছে। সংবাদপত্রে পুরো পাতার বিজ্ঞাপন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে জেডিইউ। এই মুহুর্তে কেন বিষয়টি আয়কর বিভাগ এবং সিবিআই-এর নজরে পড়ছে না, সেই প্রশ্নও তুলেছে জেডিইউ। কেন্দ্রের শাসকদল পাশে থাকায় এই পরিস্থিতি, দাবি বিহারের শাসক অংশীদারের। প্রসঙ্গক্রমে বলে রাখা ভাল, প্রশান্ত কিশোর এমন একজন ব্যক্তি যিনি দেশের প্রায় সব বড় রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কাজ করেছেন। তবে তিনি সাম্প্রতিক সময়ে দাবি করেছেন, পেশাদার রাজনৈতিক পরামর্শদাতার ভূমিকা ত্যাগ করে তিনি নিজের রাজ্যের জন্য পুরোপুরি নিয়োজিত করেছেন।
বরাবরই সন্দেহের চোখে প্রশান্ত কিশোর
সাম্প্রতিক সময়ে প্রশান্ত কিশোরকে অনেক রাজনৈতিক দলই সন্দেহের চোখে দেখে। কেননা ২০১৪ সালে তিনি নরেন্দ্র মোদী প্রচারের সাহায্য করেছিলেন। তারপর বিজেপির সঙ্গ ছাড়েন। এরপর কখনও নীতীশ কুমার, কখনও তৃণমূল কংগ্রেস, তেলেঙ্গানার কেসিআর কিংবা অন্ধ্রপ্রদেশে ওয়াইএসআর কংগ্রেসের সঙ্গে কাজ করেছেন। কংগ্রেসের সঙ্গেও কথা চালিয়েছিলেন পিকে। কিন্তু সেখানেও উঠে এসেছিল পিকেকে ধিরে সেই সন্দেহের কথা। তবে এর মধ্যে প্রশান্ত কিশোরকে আবার নীতীশ কুমারের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠকেও দেখা গিয়েছে। ফলে তিনি যে কখন কোন পক্ষে কিংবা কার হয়ে কাজ করছেন, তা বোঝা সাধারণ মানুষের কাছে বড় দায়।