২০২০ বিহার বিধানসভার নির্বাচনের পারদ চড়িয়ে প্রশান্ত কিশোরের বিশেষ বার্তা রাহুল-প্রিয়ঙ্কাকে
বিহার নির্বাচনের রাজনৈতিক মঞ্চ ক্রমাগতই তপ্ত হতে শুরু করেছে বিধানসভা নির্বাচনের আগে। ২০২০ সালে গোবলয়ের রাজনীতিতে অন্যতম হাইভোল্টেজ ঘটনা হতে চলেছে বিহারের ভোট। সেখানের বিধানসভা নির্বাচনের আগে থেকেই নাগরিকত্ব ইস্যুতে জেডিইউ ও বিজেপির সম্পর্ক কতটা মজবত রয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুঙ্গে। আর সেই প্রশ্নে আরও একবার খানিকটা উস্কানি দিয়ে দিলেন জেডিইউ এর সর্বভারতীয় ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রশান্ত কিশোর।
প্রশান্ত কিশোরের টুইট ও বিহারের রাজনীতি
কয়েকদিন আগেই নাগরিকত্ব ইস্যুতে কংগ্রেসের দুর্বল রাজনীতি নিয়ে সমালোচনা শোনা গিয়েছিল ভোট-স্ট্র্যাটেজিস্ট প্রশান্ত কিশোরের কণ্ঠে। আর এবার সেই কংগ্রেসের রাহুল শিবিরকেই ধন্যবাদ জানালেন ভারতের রাজনীতির এই দুঁদে ব্যক্তিত্ব। বিহারের নীতীশ কুমারের দল জেডিইউ এর সদস্য প্রশান্ত কিশোর একটি টুইটে জানান, নাগরিকত্ব ইস্যুতে সিএএ বাতিল করার ডাকে কংগ্রেস যেভাবে সাড়া দিয়েছে, তাতে তিনি রাহুল শিবিরকে ধন্যবাদ জানাতে চান।
শুধু রাহুল নন, প্রিয়ঙ্কাকাকেও বার্তা প্রশান্তের
শুধুমাত্র রাহুল গান্ধী নন, তাঁর বোন তথা কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গান্ধীকেও নিজের তরফে 'ধন্যবাদ' জ্ঞাপন করেছেন প্রশান্ত কিশোর। উল্লেখ্য এনআরসি, সিএএ ইস্যুতে মোদী বিরোধিতায় রাহুল গান্ধীর থেকেও বেশি সপ্রতিভ ছিলেন প্রিয়ঙ্কা গান্ধী। উত্তরপ্রদেশ কংগ্রেসের দায়িত্বপ্রাপ্ত এই নেত্রী যোগীরাজ্যে এই বিরোধিতা ঘিরে একের পর এক ঘটনার সম্মুখীন হন। আর সেই সমস্ত ইস্যুকে সামনে রেখেই প্রশান্ত কিশোর নিজের বক্তব্য তুলে ধরেন।
বিহার রাজনীতি, সিএএ ও প্রশান্ত কিশোরের দাবি
বিহার বিধানসভায় বিজেপির সঙ্গে জোট রয়েছে নীতীশ কুমারের জেডিইউয়ের। আর এনডিএ শরিক জেডিইউ সংসদে নাাগরিকত্ব সংশোধনী আইন সংক্রান্ত বিলে সম্মতি দিয়ে বিজেপির পাশেও দাঁড়িয়েছিল। কিন্তু এরপরই নাগরিকত্ব ইস্যুতে সরব হন নীতীশের দলের 'চাণক্য' প্রশান্ত কিশোর। মুহূর্তে নীতীশ কুমার জানিয়ে দেন যে বিহারে সিএএ লাগু হবে না। আর সেই প্রসঙ্গেই বিজেপির হেড কোয়ার্টার নীতীশ শিবরকে নিয়ে খনিকটা রুষ্ট হয়। এরপর প্রশান্ত কিশোরও এই ইস্যুতে সরাসরি বিজেপি বিরোধিতা শুরু করেন। এবার ফের একবার সেই পুরনো প্রসঙ্গ উত্থাপন করে প্রশান্ত কিশোর জানান, 'বিহারে সিএএ- এনআরসি লাগু হবেনা।'