উত্তর প্রদেশের ভুলই সাহায্য করেছে বাংলায়! গোয়ায় তৃণমূল কি জিতবে, কী বলছেন প্রশান্ত কিশোর
তিনি তৃণমূল (Trinamool Congress) কংগ্রেসের পরামর্শদাতা। তাঁর সংস্থা আইপ্যাক (IPAC) তৃণমূলের হয়ে গোয়া (Goa), ত্রিপুরা (Tripura), মেঘালয় (Meghalaya)-সহ বিভিন্ন রাজ্যে কাজ করছে। সবকটি রাজ্যেই তৃণমূল মূলত কংগ্রেসকে (Congress) ভেঙেই এগিয়ে যেতে চাইছে। সেই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে প্রশান্ত কিশোর (Prashant Kishor) বলেছেন, কংগ্রেসে যোগদান একরকম নিশ্চিত হয়ে গেলেও শেষ মুহূর্তে তিনি সিদ্ধান্ত বদল করেন।

উত্তর প্রদেশের ভুল সাহায্য করেছে পশ্চিমবঙ্গে
২০১৭ সালে উত্তর প্রদেশে ভোটের আগে প্রশান্ত কিশোর কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এব্যাপারে তিনি বলেছেন, যা পরিকল্পনা করা হয়েছিল, তা প্রয়োগ করা যায়নি। এর দায়িত্ব তিনি নিয়েছিলেন। তবে এর জন্য তিনি কংগ্রেস কিংবা এসপিকে দায়ী করছেন না। উত্তর প্রদেশের ভুল তাঁকে পশ্চিমবঙ্গে সাহায্য করেছে বলে জানিয়েছেন। তবে বাংলা এবং সেখানকার আসন সম্পর্কে মূল্যায়ন যে করেছিলেন তাও জানিয়েছেন প্রশান্ত কিশোর।

গোয়া নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণীতে রাজি নন
২০১৫ সালের বিহার বিধানসভার নির্বাচন ছাড়া সংযুক্ত বিরোধীরা কখনই সফলভাবে বিজেপিকে পরাজিত করতে পারেনি। ২০২২-এর গোয়া বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কি জয়ী হবে, এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের প্রশ্নের উত্তর ভোটকুশলী বলেছেন, নির্বাচনী ফলাফল নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করার তাঁর ক্ষমতা নেই। যদিও পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই প্রশান্ত কিশোরই বলেছিলেন, বিজেপি তিন অঙ্কৌ পৌঁছতে পারবে না। তাই হয়েছিল। ২০০ পার করার দাবি করা বিজেপি থেমে গিয়েছিল ১০০-র অনেক আগে ৭৭-এ (পরে অবশ্য বিজেপির আসন আরও কমেছে)।
তবে প্রশান্ত কিশোর স্বীকার করে নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল তৃণমূলের সঙ্গে আইপ্যাকের কাজ পশ্চিমবঙ্গের বাইরেও চলতে থাকবে।

বিজেপি রাহুলের হিন্দুত্বের ব্যাখ্যা পছন্দ করে
উত্তর প্রদেশের নির্বাচনকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করার পরেও তিনি বলেছেন, তা কখনিই ২০২৪-এর সাধারণ নির্বাচনের ফলাফলের নির্ধারক হতে পারে না।
হিন্দুত্ব নিয়ে রাহুল গান্ধীর ব্যাখ্যার সমালোচনা করে প্রশান্ত কিশোর বলেছেন, হিন্দুত্ব ইস্যু কংগ্রেসের পক্ষে অপ্রয়োজনীয়। রাহুল গান্ধীর হিন্দুত্বের ব্যাখ্যা থেকে বিজেপিরই লাভ হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

কংগ্রেসে যোগদান নিয়ে অবস্থান ব্যাখ্যা
মাস কয়েক আগে একটা সময়ে প্রশান্ত কিশোরের কংগ্রেসে যোগদান নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছিল। এব্যাপারে প্রশান্ত কিশোর বলেছেন, তিনি কংগ্রেসে যোগদান করা নিয়ে একরকম সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেলেছিলেন। কিন্তু কিছু বিষয়ে মতের মিল না হওয়ায় সেখান থেকে পিছিয়ে আসেন। তিনি বলেছেন, কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে তাঁর সংযোগ রয়েছে দুবছরের বেশি সময়। রাহুল গান্ধী ও প্রিয়ঙ্কা গান্ধীর সঙ্গে বৈঠকও করেছিলেন। কংগ্রেসের পুনরুজ্জীবন নিয়ে আলোচনাও হয়েছিল। তিনি বেশ কিছু উপদেশও দিয়েছিলেন। তবে তা গ্রহণ করা কিংবা না করাটা কংগ্রেসের ওপরে নির্ভর করছে বলে জানিয়েছেন প্রশান্ত কিশোর।