বিহার থেকে নতুন পথে যাত্রা শুরু পিকের, কংগ্রেসকে ‘একলা’ চলার বার্তায় লুকিয়ে জল্পনা
বিহার থেকে নতুন পথে চলা শুরু পিকের, কংগ্রেসকে ‘একলা’ চলার বার্তায় লুকিয়ে জল্পনা
প্রশান্ত কিশোর সম্প্রতি কংগ্রেসে যোগ দিতে চেয়ে সোনিয়া ও রাহুল গান্ধী-সহ কংগ্রেসের হাইকম্যান্ডের সঙ্গে বারবার বৈঠক করেছেন। কংগ্রেসকে পুনরুজ্জীবনের প্রস্তাব দিয়েছেন। কিন্তু শেষমেশ তাঁর কংগ্রেসে যোগদান আর করা হয়নি। এরপর তিনি একটা তাৎপর্যপূর্ণ টুইট করে নতুন দল গড়ার বার্তা দিয়েছেন। এখন প্রশ্ন সেই কারণেই কি বিহারে কংগ্রেসকে একলা লড়াইয়ের বার্তা দিয়েছিলেন তিনি?
একগুচ্ছ প্রস্তাবনা তুলে ধরেছিলেন কংগ্রেসের জন্য
মোদী-রাজ্যে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন ও ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে প্রশান্ত কিশোর কংগ্রেসের হয়ে কাজ করতে চেয়েছিলেন। সে জন্য তিনি আগ বাড়িয়ে প্রস্তাব দিয়েছিলেন কংগ্রেসকে। বৈঠক করেছিলেন সোনিয়া-রাহুল-প্রিয়াঙ্কাদের সঙ্গে। শীর্ষ নেতৃত্বের সমনে বৈঠক করে প্রস্তাবনা তুলে ধরেছিলেন কংগ্রেসের জন্য।
বিহারে আরজে়ডির সঙ্গে কংগ্রেসের দীর্ঘ বন্ধুত্ব
সেই প্রস্তাবনাতেই তিনি কোন রাজ্যে কংগ্রেসকে কীভাবে লড়তে হবে, সে কথা ফলাও করে বলেছিলেন। তার মধ্যে ছিল বিহারের কথাও। বিহার নিয়ে তিনি কংগ্রেসকে পরামর্শ দিয়েছিলেন একলা চলতে। কিন্তু তখন তা বোধগম্য হয়নি কেন তিনি একলা চলতে বলছেন বিহারে। বিহারে আরজে়ডির সঙ্গে কংগ্রেসের দীর্ঘ বন্ধুত্ব। তা সত্ত্বেও কংগ্রেসকে তিনি বিহারে একলা চলতে বলেছেন।
টুইটে ইঙ্গিতবাহী বার্তা দিয়েছেন ভোট কৌশলী
তবে কি প্রশান্ত কিশোর নিজে দল গড়বেন বলেই কংগ্রেসকে বলেছিলেন বিহারের একলা চলতে। কেননা এদিন টুইটে তিনি বলেছেন বিহার থেকেই পথ চলা শুরু করতে চান তিনি। এখন দেখার তাঁর এই টুইট সত্যিই নতুন দল গড়ার পূর্বাভাস কি না। তিনি টুইটে ইঙ্গিতবাহী বার্তা দিয়েছেন তাঁর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা অঙ্গ হিসেবে।
কংগ্রেসকে বিহারের একলা চলার বার্তায় লুকিয়ে জল্পনা
তিনি টুইটে সরাসরি রাজনৈতিক দল করার কথা না বললেও একটি নাম জানিয়েছেন, তা হল 'জন সুরয'অর্থাৎ জনতার সূর্য। তিনি জন সুরয বলতে বুঝিয়েছেন পিপলস গুড গভর্ন্যান্স। অর্থাৎ মানুষের সুশাসন। আর লিখেছে, 'শুরুবাত বিহার সে'। তাতেই জল্পনা শুরু বিহার থেকে নতুন দল গড়ার। কংগ্রেসকে বিহারের একলা চলার বার্তা দেওয়া আর বিহার থেকে জন সুরয নামে দল গড়ার প্রস্তুতি কি পরপ্পর সম্পর্কিত, তা নিয়েই শুরু হয়েছে জল্পনা।
তৃণমূল কংগ্রেসের ভোট কৌশলী ছিলেন জেডিইউ নেতাও
ভোট কৌশলী হিসেবে সফল প্রশান্ত কিশোর একটা সময়ে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের দল জেডিইউয়ের যোগ দিয়েছিলেনষ জেডিইউয়ের সহ সভাপতি হিসেবে তিনি দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। এমনকী তৃণমূল কংগ্রেসের ভোট কৌশলী হিসেবে কাজ করার সময়েও তিনি ছিলেন জেডিইউয়ের সভাপতি। কিন্তু বিজেপির সঙ্গে জেডিইউয়ের সম্পর্ক এবং বেশ কিছু ইস্যুভিত্তিক মতপার্থক্যে তিনি দল ছাড়েন।
প্রশান্ত কিশোর কোন ভূমিকায় অবতীর্ণ হবেন, জল্পনা
প্রশান্ত কিশোর জেডিইউ ছাড়ার পর বিহারে একটি মঞ্চ গড়ে তুলেছিলেন। 'বাত বিহার কী' কর্মসূচির মধ্য দিয়ে মঞ্চ গড়ে তোলার পরেই তা রাজনৈতিক দলের রূপ নিয়ে পারে এমন একটা জল্পনা তৈরি হয়েছিল তখনই। কিন্তু প্রশান্ত কিশোর তাঁর তৈরি মঞ্চকে বেশি দূর এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেননি। এখন দেখরা সেই মঞ্চকে ফের জাগ্রত করে তিনি ফের রাজনৈতিক দলের রূপ দেন কি না। সামনেই ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচন। তার আগে প্রশান্ত কিশোর কোন ভূমিকায় অবতীর্ণ হন এবং কোন অবস্থান নেন তিনি।
প্রশান্ত কিশোরের নতুন টুইট, 'মানুষের কাছে' যাওয়ার কথা বলে দল গড়ার ইঙ্গিত পিকের?