এই জোট সুবিধাবাদের জোট! দুদিনে ইয়েদুরাপ্পা সরকারের পতনের পর বিজেপি আর যা বলল
বিজেপি নেতা প্রকাশ জাভড়েকর বলেছেন, কর্ণাটকে কংগ্রেস-জেডি (এস) জোটের মধ্যে সবচেয়ে সুবিধাবাদী জোট।
অনেক ঢাক ঢোল পিটিয়েও কর্নাটক বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করা যায়নি। এই পরাজয়ের ধাক্কা সামলাতে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)-র মুখে সেই দুর্নীতির অভিযোগ। তারা বলছে কংগ্রেস-জেডি(এস) জোট একটি সুবিধাবাদী জোট। তাদের দাবি কংগ্রেস ১৩ টি রাজ্যে ক্ষমতায় ছিল, তার ১২ টি হারিয়েছে। তাদের এই 'কংগ্রেস-মুক্ত ভারত' অভিযান চলবেই। তাহলেই একমাত্র 'দুর্নীতি-মুক্ত ভারত' গড়া যাবে।
এদিন বিজেপি নেতা প্রকাশ জাভড়েকর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অভিযোগ করেন, কংগ্রেস-জেডি(এস) শুধুমাত্র ক্ষমতা দখলের স্বার্থেই জোট বেধেছে। এই জোট একটি সুহিধাবাদী জোট। তিনি বলেন জোট গড়া উচিত আদর্শের ভিত্তিতে। কর্ণাটকে এই কংগ্রেস-জেডি(এস)-এর কী আদর্শ? ভোটের আগে রাহুল গান্ধী জেডি(এস)-এর প্রবীন নেতা তথা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দেবগৌড়াকে নিয়মিত কটু ভাষায় আক্রমণ করে গিয়েছেন। তিনি এও বলতেন, জিডে(এস) বিজেপির বি টিম। এখন তো সবার কাছে স্পষ্ট কে কার বি টিম! কাজেই, সুবিধাবাদই এই জোটের আদর্শ। আর নীতি বলতে এরা বোঝে শুধু দুর্নীতি।
তিনি আরও বলেন এই জোট নেতিবাচক রাজনীতির ফসল। কর্ণাটকের জনসাধারণ রাজ্যে পরিবর্তন চেয়েছিলেন। আগের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া একটি আসনে হেরেছেন, আরেকটিতে কোনক্রমে মুখরক্ষা হয়েছে। কংগ্রেস সরকারের ১৪ ন মন্ত্রী পরাজিত হয়েছেন। এরপরও রাহুল দাবি করছেন কংগ্রেস বিজেপিকে হারিয়েছে। এটা হাস্যকর। বিজেপি ৪০ আসন থেকে বেড়ে ১০৪ হয়েছে, উল্টোদিকে কংগ্রেস ১২২ থেকে নেমে গিয়েছে ৭৮-এ। অর্থাত কর্ণাটকের মানুষ বিজেপিকেই বেছে নিয়েছিলেন। কংগ্রেস-জেডি(এস) স্রেফ ক্ষমতার লোভে, বিজেপিকে আটকাতে এই জোট গড়ল। কর্ণাটকের মানুষের মতামতকে অসম্মান করলো। তাঁর মতে, ইয়েদুরাপ্পা আজ বিধান সৌধে তাঁর ভাষণের মধ্য দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েচেন কিভাবে গনতন্ত্রকে সম্মান করতে হয়।
Congress does not respect institutions & this statement is just an evidence of that. Is this how they show respect towards the post of the Governor?: Union Minister Prakash Javadekar on Sanjay Nirupam's statement about #Karnataka Governor Vajubhai Vala pic.twitter.com/lduDcmaCDo
— ANI (@ANI) May 19, 2018
কংগ্রেসের অভিযোগ ছিল কর্ণাটকের রাজ্যপাল বাজুভাই বালা অসাংবিধানিক কাজ করছেন। সে প্রসঙ্গে জাভড়েকর উল্টে কংগ্রেসই সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে মানে না, বলে অভিযোগ করেন। তাঁর বক্তব্য কংগ্রেস, সেনাবাহিনী থেকে শুরু করে, ক্যাগ (সিএজি), নির্বাচন কমিশন, সুপ্রিম কোর্ট কাউকেই সম্মান করে না। এরপরই সামনে উপস্থিত সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে এই বিজেপি নেতা বলেন, এমনকী, সংবাদ মাধ্যমকেও ওরা সম্মান করতে জানে না।
এদিন মহারাষ্ট্রের কংগ্রেস নেতা সঞ্জয় নিরুপম কর্ণাটকের রাজ্যপালকে কুকুরের সঙ্গে তুলনা করেছেন। সে প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কংগ্রেস তো এখন রাজ্যপালকেও ছাড়ছে না। তিনি জানান, 'প্রতিষ্ঠানকেই সম্মান দিতে পারেন না রাহুল, তিনি আবার রাজ্যপালের পদকে সম্মান জানাবেন? এই মন্তব্যই তার বড় উদাহরণ।' জাভড়েকর আরো বলেন, 'তবে এখন যখন রাজ্যপাল তাদের পছন্দের মুখ্যনন্ত্রীকে শপথ বাক্য পাঠ করাবেন, তখন নিশ্চয়ই আবার তিনি কংগ্রেসের চোখে ভাল হয়ে যাবেন।'