দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে হিংসার পরিবেশ তৈরি করছে কংগ্রেস ও বামপন্থীরা, অভিযোগ কেন্দ্রীয়মন্ত্রীর
দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে অশান্তি ছড়াচ্ছে কংগ্রেস, আম আদমি পার্টি ও বামপন্থী দলগুলি। আজ দিল্লিতে বিজেপির সদর দফতরে এমনই অভিযোগ করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর।
দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে অশান্তি ছড়াচ্ছে কংগ্রেস, আম আদমি পার্টি ও বামপন্থী দলগুলি। আজ দিল্লিতে বিজেপির সদর দফতরে এমনই অভিযোগ করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর। রবিবার জেএনইউ-তে ঘটে যাওয়া তাণ্ডবের কড়া সমালোচনা করেও এর দোষ তিনি বিরোধীদের ঘাড়ে চাপান।
জেএনইউ-র ঘটনায় নিন্দা প্রকাশ
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, 'জেএনইউ-তে গতরাতে যা ঘটেছে আমি তার বিরোধিতা করছি এবং কড়া ভাষায় নিন্দা জানাচ্ছি। আম আদমি পার্টি, কংগ্রেস ও বামপন্থী দলগুলির কয়েকজন ক্রমাগত দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে অশান্তি ছড়াচ্ছে। এবং সেখানে হিংসার পরিবেশ তৈরি করেছে। এই বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষ।'
ষড়যন্ত্রের অভিযোগ
তিনি আরও বলেন, 'এটা কী করে সম্ভব হয় যে এই ঘটনা ঘটার ১০ মিনিটের মধ্যে যোগেন্দ্র যাদব সেখানে পৌঁছে গেলেন। অন্যরাও সেখানে পৌঁছে গেলেন। যদি এটা একটা ষড়যন্ত্র না হয়ে থাকে তবে ওরা এটা জানলেন কী করে আর ওখানে সময়য় মতো পৌঁছালেন কী করে?' তিনি আরও দাবি করেন, গত তিন দিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা অশান্তি ছড়িয়ে রেজিস্ট্রেশনে ব্যাঘাত ঘটাতে চাইছে।
বহিরাগতদের দিকে আঙুল
তিনি অভিযোগ করেন, 'গত তিনদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদের রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটানো হচ্ছে। আমাদের তদন্ত করে দেখতে হবে যে এর পিছনে কে রয়েছে। কারা ছাত্রদের মেরেছে। গতরাতে বহিরাগতরা এসে বিশ্ববিদ্যালয় চত্ত্বরে ছাত্র এবং শিক্ষকদের মেরেছে। আমাদের স্বররাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এই বিষয়ের পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। সত্যিটা বেরিয়ে আসবেই।'
কী হয়েছিল জেএনইউ-তে?
দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে রবিবার সন্ধ্যায় হামলা চালায় অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতীরা। যদিও বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ ছাত্র ও আক্রান্ত শিক্ষকদের অভিযোগর তির আরএসএস-এর ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের দিকে। গতকালকের হামলায় জেএনইউ ছাত্র সংগঠনের সভাপতি ঐষী ঘোষ সহ ১৮ জন ছাত্র বা শিক্ষক জখম হয়ে ভর্তি হয়েছেন দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিকাল সায়েন্সে। আজ সকালে তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এদিকে ছআত্রদের অভইযোগ এই হামলার পিছনে রয়েছে আরএসএস-এর ছাত্র সংগঠন এবিভিপি।
এবিভিপি-র দিকে আঙুল ছাত্র সংসদের
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে জেএনইউ-এর ছাত্র সংসদ বিবৃতি দিয়ে বলে, 'এই হামলা চালিয়ে এবিভিপি-র গুন্ডারা। তাদের নিশানায় সাধারণ ছাত্র ছাড়া শিক্ষকরাও ছিলেন। পুলিশের উপস্থিতিতেই লাঠি, রড, হাতুড়ি নিয়ে ঘুরে তাণ্ডব চালিয়েছে এবিভিপি-র মুখোশধারীরা। এই তাণ্ডবের ঘটনায় জড়িয়ে রয়েছে পুলিশও। তারা সংঘ সমর্থক প্রফেসরদের কাছ থেকে নির্দেশ পেয়ে নীরব ভূমিকা পালন করেছে এবং তাণ্ডব করতে গুন্ডাদের সাহায্য করেছে।'
পাল্টা দাবি এভিবিপি-র
যদিও এবিভিপি পাল্টা দাবি করে যে এই ঘটনা বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলি ঘটিয়েছে। তাদের বক্তব্য, নক্সালপন্থীরা হোস্টেলে ঢুকে ভাংচুর চালিয়েছে, এবং ছাত্রছাত্রীদের লোহার রড দিয়ে আঘাত করেছে। এবিভিপির সভাপতি নিধি ত্রিপাঠি এই বিষয়ে বিব়তি দিয়ে এএফএসআই, এআইসা ও ডিএসএফ-এর ঘাড়ে দোষ চাপান।