নাগরিকত্ব বিল নিয়ে উদ্বেগে প্রফুল্ল! বাংলাদেশের নাগরিকদের নিয়ে যা বললেন তিনি
নাগরিকত্ব বিল নিয়ে বিভ্রান্তিকর প্রচারে উদ্বেগপ্রকাশ করলেন অসমের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং অসম গণ পরিষদ নেতা প্রফুল্ল মহান্ত। নাগরিকত্ব বিল নিয়ে বিরোধিতা মানে বাঙালি বিরোধী, হিন্দু বিরোধী নয় বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। তবে বিষয়টিকে ন্যায়ের দাবিতে লড়াই বলেই মন্তব্য করেছেন তিনি।

১৯৭৯ থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত অসমে বিদেশি বিরোধী আন্দোলনে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হয়েছিল, তার অন্যতম স্বাক্ষরকারী ছিলেন প্রফুল্ল মহান্ত। তাঁর মতে একশ্রেণির মানুষ জনগণকে নিয়ে বিভ্রান্তিমূলক প্রচারের চেষ্টা চালাচ্ছে।
কিছু বাংলায় কথা বলা মানুষ, তাকে বলেছেন, নাগরিকত্ব বিলের বিরুদ্ধে আন্দোলন বাঙালিদের বিরুদ্ধে আন্দোলনে পর্যবাসিত হচ্ছে। এমনটাই জানিয়েছেন প্রফুল্ল মহান্ত। কিন্তু তারা সকলকেই বলতে চান, এই আন্দোলন কখনই বাঙালি কিংবা হিন্দু বিরোধী নয়।
প্রফুল্ল মহান্ত বলেছেন, অসম চুক্তিতেই চিহ্নিতকরণ, নাম মুছে দেওয়া এবং দেশান্তরিত করা কথা বলা আছে। আন্তর্জাতিক সীমান্ত সিল করার দাবি করেছেন তিনি।
অসমের অবৈধ বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী এবং প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যশবন্ত সিনহার কথাও স্মরণ করেছেন প্রফুল্ল মহান্ত। যদি সংসদে বিল পাশ করা হয়, তাহলে অসম চুক্তি নিরাবরণ হয়ে পড়বে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
মেঘালয়ে সরকারে থাকা মেঘালয় ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্সের সিদ্ধান্তের মতোই অসম সরকারেরও উচিত তাদের অবস্থান স্পষ্ট করা। মেঘালয় সরকার তাদের রাজ্যে যুগ্ম সংসদীয় কমিটির সফরের সময় বিলটি নিয়ে তাদের বিরোধিতার কথা জানিয়ে দিয়েছে।
নাগরিকত্ব বিলের বিরুদ্ধে ৮ জুন তাদের কর্মসূচির কথাও জানিয়েছেন প্রফুল্ল মহান্ত। ওই দিন অসম আন্দোলন সংগ্রামী মঞ্চের তরফে বিভিন্ন পোস্ট অফিস থেকে নাগরিকত্ব বিলের বিরোধিতা করে প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি, উপ রাষ্ট্রপতি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে চিঠি পাঠানো হবে।
বাংলাদেশের মানুষও এই নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল ২০১৬ নিয়ে অবগত নন। বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের এক অ্যাডভকেট তাকে কথা জানিয়েছেন। বলেছেন প্রফুল্ল মহান্ত। সেখানকার সংখ্যালঘুদের গঠিত কমিটিও এই বিলের বিরোধিতা করেছে। ভারত সরকারের সিদ্ধান্তেরও বিরোধিতা করেছেন তারা। এমন কী তারা বলেছেন, তারা কখনই ভারতে যেতে চান না।