রায়ান স্কুলের প্রদ্যুম্ন হত্যা মামলায় পুলিশের কুকীর্তি ফাঁস করল সিবিআই
রায়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের ছাত্র সাত বছরের প্রদ্যুম্ন ঠাকুরের হত্যা মামলায় পুলিশের কুকীর্তি ফের সামনে এল। আর তা ফাঁস করল সিবিআই।
গুরুগ্রামের রায়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের ছাত্র সাত বছরের প্রদ্যুম্ন ঠাকুরের হত্যা মামলায় পুলিশের কুকীর্তি ফের সামনে এল। আর তা ফাঁস করল সিবিআই। এদিন সেই স্কুলের এক একাদশ শ্রেণির ছাত্রকে প্রদ্যুম্নের খুনের অভিযোগে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। সেই মামলাতেই আরও একটি ঘটনা সামনে এসেছে।
সিবিআই এই ঘটনায় মূল চক্রী হিসাবে পুলিশের হাতে গ্রেফতার অশোক কুমারকে জেরা করে দেখেছে, সে এই খুনের বিষয়ে তেমন কিছুই জানে না। প্রদ্যুম্নের সঙ্গে কী হয়েছে সেই বিষয়েও তার কোনও স্পষ্ট ধারণা নেই।
[আরও পড়ুন:রায়ান স্কুল কাণ্ডে খুনি স্কুলেরই এক ছাত্র, কী কারণে এমন নৃশংস ঘটনা]
ফলে পুলিশ স্কুলের ছাত্রদের জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে। প্রদ্যুম্নের ক্লাসের চারজন সহপাঠী পুলিশকে জানায়, একাদশ শ্রেণির এক ছাত্র স্কুলে ছুরি নিয়ে আসে।
সিবিআই পরে সেই ছাত্রটিকে ও তার বাড়ির লোককে জেরা করে। জানা যায়, স্কুলের পরীক্ষা পিছিয়ে দিতে চেয়েছিল ছেলেটি। আর সেই কারণেই সে প্রদ্যুম্নকে হত্যা করতে পারে। তাকে এদিন গ্রেফতারও করা হয়েছে।
এদিকে বাসের চালক অশোক কুমার যাকে পুলিশ গ্রেফতার করেছিল, মামলা ক্লোজ করতে তাকে দিয়ে জোর করে অপরাধ কবুল করানো হয়েছিল। অর্থাৎ তদন্তে নেমে চূড়ান্ত গাফিলতি দেখিয়েছিল পুলিশ। যা সিবিআই তদন্তে উঠে এসেছে।
প্রদ্যুম্ন ঠাকুর হত্যার পরে রায়ান স্কুল নিয়ে সারা দেশে হইচই পড়ে যায়। পরে চাপে পড়ে সিবিআইয়ের হাতে মামলা তুলে দেওয়া হয়। ২৩ সেপ্টেম্বর দায়িত্ব নিয়ে দেড় মাসের মধ্যেই হত্যা মামলার কিনারা করে ফেলল পুলিশ।