অবশেষে ২ মাস পরে কাশ্মীরে চালু হল মোবাইল পরিষেবা
৩৭০ বিলুপ্তির সঙ্গে সঙ্গে দেশের অন্যান্য অংশের সঙ্গে কোনও যোগাযোগই ছিল না কাশ্মীরের। টেলিফোন পরিষেবা থেকে ইন্টারনেট পরিষেবা সবই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল গণ্ডগোল ছড়ানোর আশঙ্কায়।
৩৭০ বিলুপ্তির সঙ্গে সঙ্গে দেশের অন্যান্য অংশের সঙ্গে কোনও যোগাযোগই ছিল না কাশ্মীরের। টেলিফোন পরিষেবা থেকে ইন্টারনেট পরিষেবা সবই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল গণ্ডগোল ছড়ানোর আশঙ্কায়। প্রায় টানা ৭১ দিন বন্ধ থাকার পর আজ সোমবার অবশেষে উপত্যকায় ফিরল জন সংযোগ। বিএসএনএসের পোস্টপেইড মোবাইল পরিষেবা চালু হল আজ থেকে। গোটা উপত্যকায় ৩০ লাখ প্রিপেইড মোবাইল ফোনের কানেকশন রয়েছে। সেটা যদিও এখনও চালু হয়নি।
তবে পোস্ট পেইড মোবাইল পরিষেবা চালু হওয়াতেই খুশির হওয়া গোটা উপত্যকায়। আত্মীয় পরিজনদের ফোন করতে তৎপর হয়েছেন সেখানকার বাসিন্দারা। যাঁদের পোস্টপেইড মোবাইল কানেকশন নেই তাঁরা প্রতিবেশীদের ফোেন যোগাযোগ করার চেষ্টা করছেন। কিন্তু ইন্টারনেট পরিষেবা চালু করা হয়নি। শুধু মাত্র ফোনেই কথা বলা যাচ্ছে। উপত্যকায় ৪০ লাখ পোস্টপেইড মোবাইল কানেকশন রয়েছে।
গত ৫ অগস্ট কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার করা হয়। কাশ্মীর এবং লাদাখকে দুটি পৃথক কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল ঘোষণা করার পরেই সবরকম যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল উপত্যকায়। কড়া নিরাপত্তার নজরদারিতে মুড়ে ফেলা হয় গোটা দেশ। দীর্ঘ দু'মাস যোগাযোগ বন্ধ থাকার পর অবশেষে দেশের অন্যান্য অংশের সঙ্গে যোগাযোগ খুলল কাশ্মীরের।
ধীরে ধীরে শীথিল করা হচ্ছে কাশ্মীরের কড়া নিরাপত্তা। একাধিক জায়গায় কার্ফু প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। স্কুল-কলেজ, দোকান বাজার বসতে শুরু করেছে। গৃহবন্দি একাধিক নেতাদের মুক্তিও দেওয়া হয়েছে। কাশ্মীরকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করার জন্য রাষ্ট্রপুঞ্জেও একাধিকবার সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে ভারতকে। এমনকী আমেরিকার একাধিক নেতাও কাশ্মীরকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে রাখার জন্য সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে।
[ অমর্ত্য সেনের পর দ্বিতীয় বাঙালি! অর্থনীতিতে নোবেল পাচ্ছেন অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়]