WB Post-Poll Violence: ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় কেন্দ্রকে নোটিশ দিল সুপ্রিম কোর্ট
ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য। আজ মঙ্গলবার সেই মামলায় কেন্দ্রের কাছে হলফনামা চাইল শীর্ষ আদালত। এই মামলাটির পরবর্তী শুনানি রয়েছে আগামী ৭ অক্টোবর।
ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য। আজ মঙ্গলবার সেই মামলায় কেন্দ্রের কাছে হলফনামা চাইল শীর্ষ আদালত। এই মামলাটির পরবর্তী শুনানি রয়েছে আগামী ৭ অক্টোবর। তার মধ্যে কেন্দ্রকে হলফনামা জমা দিয়ে জবাব দিতে হবে।
এই মামলায় রাজ্যের দাবি, মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্ট ভুলে ভরা। আর সেই রিপোর্টের উপর ভিত্তি করেই কলকাতা হাইকোর্ট সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। ফলে এই সংক্রান্ত বিষয়টি ফের একবার খতিয়ে দেখার আবেদন নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য। আর সেই মামলার শুনানিতেই কেন্দ্রকে নোটিশ দিল দেশের সর্বোচ্চ আদালত।
উল্লেখ্য, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে এই মুহূর্তে রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার তদন্ত করছে সিবিআই। খুন, ধর্ষণ সহ একাধিক বড় ঘটনার তদন্ত সিবিআইকে করতে বলা হয়েছে। সেই মতো ঘটনার তদন্ত করছে। প্রায় ৪০টিরও বেশি এফআইআর দায়ের করে চলছে মামলা।
শুধু তাই নয়, ইতিমধ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা মামলাতে বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। এমনকি বেশ কয়েকটি মামলাতে বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। যদিও সিবিআই যেভাবে তদন্ত করছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল। তাঁদের দাবি, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা করতেই তৃণমূলকে হেনস্তা করা হচ্ছে। যদিও বিজেপির দাবি, সিবিআই সঠিক ভাবেই মামলার তদন্ত করছে।
বিজেপির দাবি রাজ্যে ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর থেকে রাজ্যে কার্যত ভয়ঙ্কর অত্যাচার চালানো হয় বিজেপি নেতা-কর্মীদের উপর। এমনকি বহু খুন-ধর্ষণের মতো ঘটনাও ঘটে বলে অভিযোগ। অনেক ক্ষেত্রেই পুলিশ অভিযোগ নেয়নি বলে অভিযোগ। আর সেই বিষয়টিকে চ্যালেঞ্জ করে একের পর এক মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্টে। সেই একটি মামলাতে পুরো ঘটনার তদন্ত করে মানবাধিকার কমিশনকে রিপোর্ট দিতে বলে।
মানবাধিকার কমিশন জানায়, ভোটের পর থেকে একের পর এক ঘটনা ঘটেছে। যা সিবিআই তদন্তের প্রয়োজন আছে। যদিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, প্রত্যেক ঘটনার চার্জশিট বাংলার পুলিশ দিয়ে দিয়েছে। শুধু তাই নয়, প্রত্যেক ঘটনার কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলেও দাবি।
তবে মমতা বলেন, মানবাধিকার কমিশনের যারা এই রিপোর্ট দিয়েছে তাঁরা বিজেপির সদস্য। শুধু তাই নয়, পক্ষপাতিত্বেরও অভিযোগ তোলা হয়েছে। আর সেই বিষয়টিকে চ্যালেঞ্জ করেই মামলা সুপ্রিম কোর্টে। আর সেই মামলাতেই কেন্দ্রের কাছে হলফনামা চাইল শীর্ষ আদালত। এই মামলাটির পরবর্তী শুনানি রয়েছে আগামী ৭ অক্টোবর। মামলা কোনদিকে গড়ায় সেদিকেই নজর সবার।