কর্ণাটক 'ফ্লোর টেস্ট'-এ কী কী সম্ভাবনার রাস্তা খোলা বিজেপি ও কং শিবিরের সামনে! দেখে নিন
রাজনৈতিক উত্তেজনা তুঙ্গে নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে কর্ণাটকে বিধানসভার অধিবেশন। ইতিমধ্যেই বিধায়ক হিসাবে শপথ নিয়েছেন বিজেপি-র ইয়েদুরাপ্পা ও কংগ্রেসের সিদ্দারামাইয়া।
রাজনৈতিক উত্তেজনা তুঙ্গে নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে কর্ণাটকে বিধানসভার অধিবেশন। ইতিমধ্যেই বিধায়ক হিসাবে শপথ নিয়েছেন বিজেপি-র ইয়েদুরাপ্পা ও কংগ্রেসের সিদ্দারামাইয়া। এর আগে , রাজ্যপালের কাছে সংখ্যা গরিষ্ঠতার দাবি জানিয়ে বিজেপির তরফে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন বি এস ইয়েদুরাপ্পা। এরপরই বিষয়টি গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে। আদালতের নির্দেশে আজ বিকেরল ৪ টেয় আস্থা ভোট কর্ণাটক বিধানসভায়। দেখে নেওয়া যাক, আস্থা ভোট জয়ে কী কী সম্ভাবনা থাকতে পারে রাজনৈতিক দলগুলির সামনে।
বিজেপি-র সামনে প্রথম সম্ভাবনা
বিজেপি যদি কংগ্রেস বা জেডিএস-র থেকে অন্তত ৭ জন বিধায়ককে নিয়ে নিতে পারে নিজেদের দলে, তাহলে বিজেপি-র বিরুদ্ধে 'অ্যান্টি ডিফেকশন' ধারায় মামলা লাগু হতে পারে। যা বিরোধী দল বদলের আওতায় পড়ে।
বিজেপি-র সামনে দ্বিতীয় সম্ভাবনা
ইয়েদুরাপ্পার শপথের পর পরই যদি ১৪ জন কংগ্রেস বিধায়ক ইস্তফা দেন তাহলে , হাউসের মোট সংখ্যার নিরিখে কমে যাবে বিধায়ক সংখ্যার লক্ষ্যমাত্রা। সেখেত্রে ২০৬ জন মোট বিধায়ক থাকলে, বিজেপির ১০৪ জন বিধায়কের অঙ্ক সংখ্যা গরিষ্ঠ বলে বিবেচিত হবে। এরফলে আবারও উপনির্বাচন ঘোষিত হবে।
গন্ডোগোল
আস্থাভোট বানচাল করার জন্য সভায় গণ্ডোগোল করে তা ভেস্তে দিতে পারে কমজোরি যোকোনও রাজনৈতিক দল। সেক্ষেত্রে হাউস সাসপেনশনের আওতায় আসবে।
কংগ্রেস -জেডিএস কী করতে পারে !
নিজের বিধায়কদের প্রতি কংগ্রেস ও জেডিএসকে সতর্ক থাকতে হবে। সভার মধ্যে তাঁরা যেন নিজের শিবির ছেড়ে না বেড়িয়ে যান। শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত আস্থা ভোটে তা নজর রাখতে হবে।
ইস্তফা দিতে পারেন ইয়েদুরপ্পা, কিন্তু কোন পরিস্থিতিতে?
যদি নিজের দখলে বিজেপি উপযুক্ত সংখ্যক বিধায়ক না রাখতে পারে, আগেভাগেই ইস্তফার সম্বাবনা রয়েছে বিজেপি-র ইয়েদুরাপ্পার। ওএর আগেও ২০০৭ সালে এরকম ঘটনা ঘটিয়েছেন ইয়েদুরাপ্পা।