জনবিস্ফোরণ! ২০৩৬ সালের মধ্যে ৩৮.২% দাঁড়াবে শহুরে জনসংখ্যা, সর্বাধিক বৃদ্ধি কোন কোন রাজ্যে
জনবিস্ফোরণ! ২০৩৬ সালের মধ্যে ৩৮.২% দাঁড়াবে শহুরে জনসংখ্যা, সর্বাধিক বৃদ্ধি কোন কোন রাজ্যে
একদিকে সারাবিশ্বেই করোনার জেরে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। অন্যদিকে আধুনিকতা ও বিশ্বায়নের হাত ধরে ক্রমেই বাড়ছে শহুরে জনসংখ্যা। গ্রামগুলো ঢুকে পড়ছে শহরের তালিকায়। ২০১১ সালে দেশের শহুরে জনসংখ্যা ছিল ৩১.৮%, ২০৩৬ সালের মধ্যেই এই জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে ৩৮.২% এ দাঁড়াবে বলেই অনুমান করা হচ্ছে একটি নয়া রিপোর্টে।
মোট জনসংখ্যা বৃদ্ধির ৭৩ শতাংশই শহুরে জনসংখ্যা!
এভাবে শহুরে জনসংখ্যা বাড়তে থাকলে আগামী ১৬ বছরের মধ্যে মোট জনসংখ্যা বৃদ্ধির প্রায় ৭৩% বা তিন চতুর্থাংশই হবে শহরের, এমনটাই অনুমান সমীক্ষকদের। এছাড়াও দেশের আগামীর জনসংখ্যা সংক্রান্ত এই অনুমান সমীক্ষায় দেখা গেছে, ২০৩৬ সালের মধ্যে দিল্লি, চণ্ডীগড় ও লক্ষদ্বীপের ১০০% জনসংখ্যাই খোদ শহরে বাস করবেন, যা রাজ্য গুলির মধ্যে সর্বোচ্চ। এবং ওই বছরই হিমাচল প্রদেশের মাত্র ১০.৫% মানুষ শহরাঞ্চলে বাস করবেন, যা দেশের সমস্ত রাজ্যগুলির মধ্যে সবচেয়ে কম।
লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে শহরের জনসংখ্যা
'টেকনিক্যাল গ্রুপ অফ পপুলেশন প্রজেকশন'এর একটি প্রতিবেদনে দেশ ও বিভিন্ন রাজ্যের ২০১১-২০৩৬ সাল পর্যন্ত জনসংখ্যা অনুমানের একটি তথ্য উঠে এসেছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, এই ১৬ বছরে দেশের মোট জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেতে পারে প্রায় ৩১.১ কোটি। যার মধ্যে শহরেই বৃদ্ধি পাবে প্রায় ২১.৮ কোটি জনসংখ্যা।
দক্ষিণাঞ্চলের শহরগুলিতে উল্লেখযোগ্য হারে বাড়বে জনসংখ্যা
রিপোর্টে অনুমান করা হচ্ছে, দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য যেমন কেরলা, তামিলনাড়ু এবং তেলঙ্গানার শহরাঞ্চলে উল্লেখযোগ্য হারে বাড়বে জনসংখ্যা। কেরলের জনসংখ্যা ৫২.৫% থেকে বেড়ে দাঁড়াবে ৯২.৮% এ। একইভাবে একইভাবে তামিলনাড়ু ও তেলেঙ্গানায় যথাক্রমে ৪৯.৩% থেকে ৫৮.২% এবং ৪০.৩% থেকে ৫৫% জজনসংখ্যার রেকর্ড করবে। পাশাপাশি গুজরাট মহারাষ্ট্রের শহরগুলিতেও হুহু করে বাড়বে জনসংখ্যা, এমনটাই অনুমান।
জনসংখ্যা বৃদ্ধির গ্রাফ নিম্নমুখী বেশ কিছু রাজ্যে
অন্যদিকে, হিমাচল প্রদেশ, বিহার, উত্তরপ্রদেশ, ঝাড়খন্ড এবং ওড়িশার মতো রাজ্যগুলিতে ২০১১ থেকে ২০৩৬ সালের মধ্যে শহুরে জনসংখ্যার বৃদ্ধি সেভাবে হবে না বলে দেখা যাচ্ছে। এই রাজ্যগুলির মোট জনসংখ্যার মাত্র ২৫% শহরের বাসিন্দা হতে চলেছেন। বিহারে ২০১১ সালে সুরে জনসংখ্যার অংশ ছিল মাত্র ১১.৫% যা ২০৩৬ সালের মধ্যে সামান্য বৃদ্ধি পেয়ে ১৩.১%-এ দাঁড়াবে বলে আশা করা হচ্ছে। একইভাবে, ২০১১ সালে হিমাচলপ্রদেশের নগর জনসংখ্যার সর্বনিম্ন অংশ ছিল ১০.১% এবং এটি সম্ভবত প্রত্যাশিত ২০৩৬ সালের মধ্যে ১০.৫%-এ পৌঁছাবে।
কর ফাঁকি দিলে বাড়বে বিপদ! বিশেষ নজরদারির ক্ষেত্রে আয়কর দফতরের হাত শক্ত করছে অর্থমন্ত্রক