২০১৮-তে ৬ প্রতিবেশী দেশে ভোট, চিন্তায় ঘুম ছুটেছে মোদীর
নতুন বছরে নতুন চ্যালেঞ্জ ভারতের সামনে। বছরের বিভিন্ন সময়ে প্রতিবেশী দেশগুলিতে নির্বাচন ভারতকে চিন্তায় রাখছে।
নতুন বছরে নতুন চ্যালেঞ্জ ভারতের সামনে। বছরের বিভিন্ন সময়ে প্রতিবেশী দেশগুলিতে নির্বাচন ভারতকে চিন্তায় রাখছে।
বিদেশ সচিবের পদে এস জয়শঙ্করকে সরিয়ে বিজয় গোখলেকে বসিয়ে ভারত নতুন কিছুর আশা করলেও, সামনের ১৬ মাসে প্রতিবেশী দেশগুলিতে নির্বাচন চিন্তায় রাখছে ভারতকে। অধিকাংশ প্রতিবেশী দেশের সরকারকেই প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার হাওয়ার সামনে পড়তে হচ্ছে।
প্রথমের দিকেই রয়েছে নেপালের নির্বাচন। প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে কেপি ওলিকে সরিয়ে ভারত কিছুটা সাফল্য পেলেও, প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার জেরে প্রধানমন্ত্রীর পদে থাকা শের বাহাদুর দেওবাকে সরিয়ে ফের ওলিই ফিরে আসতে পারেন ক্ষমতায়। ওলি প্রবল ভারত বিরোধী বলেই পরিচিত। একইসঙ্গে ওলির পরিচিতি রয়েছে চিনের সমর্থনকারী হিসেবেও।
২০১৮-র জুনে পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচন। সেখান থেকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ব্যাপারে ভাল কিছু হওয়ার নয়।
২০১৮-র সেপ্টেম্বরে মলদ্বীপে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। সেইজন্যই হয়ত, আবদুল্লা ইয়েমেন ভারতকে সন্দেহের চোখে দেখছেন। ভারতের দূত অখিলেশ মিশ্রকে বিরোধীদের সঙ্গে কথা বলতেও বাধা দিয়েছেন আবদুল্লা ইয়েমেন। যদিও ঘটনার কথা অস্বীকার করেছে মলদ্বীপ।
২০১৮-র গ্রীষ্মে ভূটানে সংসদের নির্বাচন। নতুন সরকার কী ভাবে প্রতিবেশীকে নিয়ে কাজ করে তা নিয়ে যথেষ্ট চিন্তায় ভারত। ডোকলাম পরবর্তী সময়ে ভারত বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে এই ভূটানকে নিয়েই।
২০১৮-র শেষে কিংবা ২০১৯-এর শুরুর দিকে নির্বাচনে যাবে বাংলাদেশ। যা বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের কাছেও গুরুত্বপূর্ণ। কেননা ভারত বিভিন্ন ভাবে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর নির্ভরশীল। পরপর দুটি নির্বাচনে জয়ের পর প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার মুখে শেখ হাসিনা।
২০১৮-র জুলাই-এ আফগানিস্তানে সংসদের নির্বাচন। আফগানিস্তানে প্রেসিডেন্টের নির্বাচন ২০১৯-এর এপ্রিলে। শ্রীলঙ্কাকে বাদ দিয়ে সব দেশেরই নির্বাচন রয়েছে।
২০১৯-এর
শুরুর
দিকে
নির্বাচন
রয়েছে
ভারতেও।
দ্বিপাক্ষিক
এবং
আঞ্চলিক
সম্পর্কের
ক্ষেত্রে
প্রতিবেশী
দেশগুলির
সঙ্গে
সম্পর্কের
দিকটিতে
নজর
দিতে
হয়
ভারতকে।
ভারতে
পক্ষে
দুটি
কারণে
প্রতিবেশীদের
সঙ্গে
ভাল
সম্পর্ক
রাখাটা
কঠিন।
প্রথমত,
ভারতের
আজকের
সাফল্য
কালকের
ব্যর্থতায়
পর্যবাসিত
হয়।
প্রতিনিয়তই
সেখানে
বিদেশনীতিতে
পরিবর্তন
হয়।
দ্বিতীয়ত,
অঞ্চলে
চিনে
ব্যাপক
উপস্থিতি।
ভারতের
প্রায়
সব
প্রতিবেশীই
চিনের
অবস্থানকে
স্বাগত
জানিয়েছে।
নেপাল নিয়ে বিভিন্ন সময়ে ভারতের অবস্থানকে কটাক্ষ করেছেন নেপাল অ্যানালিস্টরা।
তৃতীয় দেশে দুদেশের এনএসএ-র বৈঠকের কথা শোনা গেলেও, অপর প্রতিবেশী পাকিস্তানের সঙ্গে সরকারি কোনও যোগাযোগ নেই। জম্মু ও কাশ্মীরের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা দিয়ে জঙ্গি অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটছে ধারাবাহিক ভাবে।