অলোককে পদ ফিরিয়ে দেওয়া নিয়ে আলোড়ন রাজনৈতিক মহলে, কে কী বলছেন
ফের সিবিআই ডিরেক্টর বহাল হলেন অলোক বর্মা। কেন্দ্রের নির্দেশে দুর্নীতির তদন্তের স্বার্থে অলোক বর্মাকে অক্টোবরের শেষের দিকে মাঝরাতে বরখাস্ত করা হয়।
ফের সিবিআই ডিরেক্টর বহাল হলেন অলোক বর্মা। কেন্দ্রের নির্দেশে দুর্নীতির তদন্তের স্বার্থে অলোক বর্মাকে অক্টোবরের শেষের দিকে মাঝরাতে বরখাস্ত করা হয়। ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন ডিরেক্টর নিয়োগ করা হয়। সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন অলোক বর্মা। সেই আবেদনের রায়েই ফের তাঁকে পদ ফিরিয়ে দিয়েছে শীর্ষ আদালত। আগামী ৩১ জানুয়ারি তাঁর অবসর নেওয়ার কথা। তার আগে এই সিদ্ধান্ত নিঃসন্দেহে স্বস্তি দিয়েছে অলোক বর্মাকে। এই প্রসঙ্গে কে কী বলছেন, জেনে নেওয়া যাক একনজরে।
|
অলোক বর্মাকে নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর লোকসভায় বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খারগে বলেন, আমরা কোনও ব্যক্তির বিরুদ্ধে নই। সুপ্রিম কোর্টের রায়কে স্বাগত জানাই। এটা সরকারের জন্য একটি শিক্ষা। আজ সরকার এজেন্সি দিয়ে চাপ তৈরি করছে। অন্যদিন এই কাজ অন্য কেউ করবে। তাহলে গণতন্ত্র কোথায় যাবে?
|
সুপ্রিম কোর্ট সিবিআই ডিরেক্টরকে যে ক্ষমতা দেওয়া আছে তা রক্ষা করেছে। নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে তা করা হয়েছে। শীর্ষ আদালতের নির্দেশের ভিত্তিতেই নির্দেশ দেওয়া হবে। সেই অনুযায়ী সরকার কাজ করবে।
|
সিবিআই ডিরেক্টর পদে অোক বর্মাকে ফিরিয়ে আনা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে সরাসরি অপমান। মোদী সরকার সমস্ত প্রতিষ্ঠান ও গণতন্ত্রকে ধ্বংস করছে। মোদী যেখানে জড়িত সেই রাফালে চুক্তি নিয়ে তদন্ত থামিয়ে দিতেই কি মাঝরাতে সিবিআই ডিরেক্টরকে সরিয়ে দেওয়া হয়নি? প্রশ্ন কেজরির।
|
সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তকে স্বাগত। অলোক বর্মাকে ফের সিবিআই ডিরেক্টর পদে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। ফলে গণতন্ত্রের ওপরে মানুষের ভরসা ফের কায়েম হল। সময় এসেছে কেন্দ্রের এনআইএ, সিবিআই এর মতো সংস্থাকে নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থে কাজে লাগানো বন্ধ করার।