দুষ্কৃতীদের সাহস চূড়ান্ত পর্যায়ে! প্রমাণ দেখল দিল্লির রাজপথ
দুষ্কৃতীদের সাহস যে কতটা বেড়েছে, তার প্রমাণ রাখল সেন্ট্রাল দিল্লি। সম্প্রতি দিল্লির ইদগা রোডে চালান ইস্যু করছিলেন এক পুলিশকর্মী।
দুষ্কৃতীদের সাহস যে কতটা বেড়েছে, তার প্রমাণ রাখল সেন্ট্রাল দিল্লি। সম্প্রতি দিল্লির ইদগা রোডে চালান ইস্যু করছিলেন এক পুলিশকর্মী। সেই সময় তিন দুষ্কৃতী গিয়ে পুলিশকর্মীর মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়ার পর তারা আহাতা কাদারা রোডের দিকে চলে যায়।
সন্ধে ছটা। রাস্তায় ডিউটিতে ছিলেন অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইনস্পেক্টর শিবকুমার। কাছাকাছি অন্য পুলিশকর্মীরাও ছিলেন। তারা কর্মরত ছিলেন সদরবাজার ট্রাফিক সার্কেলের অধীনে। ট্রাফিক জ্যামের কারণে ইদগা রোডে অবৈধ পার্কিং সরিয়ে দিতে তাঁকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইনস্পেক্টর শিবকুমার নিজের ফোন ব্যবহার করে অবৈধভাবে পার্কিং হওয়া গাড়ির ছবি তুলছিলেন। সেইসব গাড়িরগুলির জন্য চালান দেওয়ার কাজও করছিলেন তিনি। অভিযোগ, সেই সময় একটি স্কুটারে সেখানে যায় তিন দুষ্কৃতী। কর্মরত পুলিশকর্মীর ফোন ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায় তারা।
অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইনস্পেক্টর শিবকুমার জানিয়েছে, দুষ্কৃতীরা স্কুটারে থাকায়, তারা তাড়াতাড়ি এলাকা ছেড়ে যেতে সমর্থ হয়। সিসিটিভি ফুটেজ দেখেও অভিযুক্তদের চিহ্নিত করা যায়নি। যদি দুষ্কৃতীদের সামনে তিনি পান, তাহলে সনাক্ত করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইনস্পেক্টর শিবকুমার। পুলিশকর্মীর দেওয়া বয়ান অনুযায়ী, তাঁর হাতে ছিল স্যামসাংস গ্যালাক্সি এস সেভেন মডেলের ফোন। যাতে দুটি সিম কার্ড ছিল। ফোনে আইনভঙ্গকারীদের তথ্যও ছিল। এছাড়াও ভিআইপিদের যাতায়াত নিয়েও ছিল তথ্য।
পুলিশকর্মীদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, অভিযুক্তদের বয়স ২০ থেকে ২২ বছরের মধ্যে। তারা সম্ভবত দিল্লিরই বাসিন্দা। বিষয়টি নিয়ে দেশবন্ধু রোড থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।