বাড়িতে ঢুকে মা-মেয়েকে গণধর্ষণ, দরজায় দাঁড়িয়ে ‘মজা’ লুটল পুলিশ-গ্রামের মোড়লরা
বাড়িতে ঢুকে মা ও মেয়েকে গণধর্ষণ করল ১৮ জন। দরজার সামনে পাহারা দিল পুলিশ ও গ্রামের মোড়লরা। হরিয়ানার গ্রামে চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা হার মানায় সিনেমাকেও।
বাড়িতে ঢুকে মা ও মেয়েকে গণধর্ষণ করল ১৮ জন। দরজার সামনে পাহারা দিল পুলিশ ও গ্রামের মোড়লরা। হরিয়ানার গ্রামে চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা হার মানায় সিনেমাকেও। গণধর্ষণকাণ্ডে সরাসরি জড়িত পুলিশকর্মী-গ্রামের মোড়লরা, যা নিয়ে গোটা দেশ এখন তোলপাড়। নৈরাজ্য চলছে রাজ্যে, অভিযোগ তুলেছে রাজনৈতিক মহলের একটা বড় অংশ।
রক্ষকই এখানে ভক্ষকের ভূমিকায়। তাহলে কোথায় যাবে সাধারণ মানুষ? কার কাছে বিচার চাইবে? যে ১৮ জন অভিযুক্ত গণধর্ষণের ঘটনায়, তাদের মধ্যে সাতজন পুলিশকর্মী, বাকিরা গ্রামের মোড়ল আর সপারিষদ। এখানেই শেষ নয়, অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন এএসআই পদমর্যাদার একজন অফিসারও। ধর্ষণকাণ্ডের সময় দরজায় দাঁড়িয়ে পাহারাদারের ভূমিকাও নিয়েছে তারা।
চাঞ্চল্যকর ঘটনার পর ভয়ে-আতঙ্কে কেউ মুখ খুলতে পারেনি। প্রাণহানির আশঙ্কাও ছিল। মা-মেয়ের মুখ বন্ধ করে রেখেছিল অভিযুক্ত পুলিশকর্মী ও মোড়লরা। তবে সব হারানো মা-মেয়েকে দমিয়ে রাখতে পারেনি শুধু প্রাণভয়। প্রাণের ভীতি এড়িয়েই তারা ছুটে গিয়েছিল থানায়। পুলিশ কর্মীদের বিরুদ্ধে, গ্রামের মোড়লদের বিরুদ্ধে উগরে দিয়েছিল অভিযোগ।
শেষপর্যন্ত প্রশাসন ব্যবস্থা নিয়েছে। অভিযুক্ত ১৮ জনকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। কনস্টেবল, হেড কনস্টেবল, এএসআই- কেউ বাদ যায়নি। বাদ যায়নি গ্রামের দণ্ডমুণ্ডের কর্তারাও। যারা সেদিন 'মজা' লুটেছিল, তাদের সবাইকে জেলের ঘানি টানিয়ে ছেড়েছেন সাহসী মা ও মেয়ে। এই ঘটনায় সিট গঠন করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ডিএসপি পদমর্যাদার অফিসার রয়েছে সিটের মাথায়।