আসল আর নকল হানিপ্রীতি-এ দিনভর ছড়াল বিভ্রান্তি
সাংবাদিক এবং ভিড় এড়াতে পাঁচকুলা পুলিশ হানিপ্রীতের ডামি ব্যবহার করল। এমনকি তাঁর বন্ধু হিসেবে ডামি সুখদীপকেও গাড়ির মধ্যে রেখেছিল পুলিশ। নিরাপত্তার কারণেই এই আয়োজন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
সাংবাদিক এবং ভিড় এড়াতে পাঁচকুলা পুলিশ হানিপ্রীতের ডামি ব্যবহার করল। এমনকি তাঁর বন্ধু হিসেবে ডামি সুখদীপকেও গাড়ির মধ্যে রেখেছিল পুলিশ। নিরাপত্তার কারণেই এই আয়োজন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
একই কম্পানির একই রঙের তিনটি গাড়ি। যাঁর মধ্যে দুটি গাড়িতে পাশাপাশি বসে রয়েছেন হানিপ্রীত ও তার বন্ধু সুখদীপ। একই ব্যক্তি তো দুটি গাড়ির মধ্যে থাকতে পারেন না। অর্থাৎ একটি গাড়িতে ছিল আসল হানিপ্রীত এবং অপর একটি গাড়িতে ছিল নকল হানিপ্রীত। ডামি ব্যবহার করায় অনেক সাংবাদিকই বিপাকে পড়ে যান।
হানিপ্রীত আত্মসমর্পণ করেছেন না তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে, সেই নিয়ে এখনও বিতর্ক রয়েছে। পঞ্জাব এবং হরিয়ানা পুলিশ তাদের অবস্থান নিয়ে নিজের মতো করে বিবৃতি দিয়েছে। তবে গাড়িতে ডামি রাখার বন্দোবস্ত করা হয়েছে শুধুমাত্র সাংবাদিকদের ছোঁয়া এড়াতেই। এমন কী ৩ অক্টোবর হানিপ্রীতকে গ্রেফতারের পরে হাসপাতালে মেডিকেল চেকআপের সময় পর্যন্ত সাংবাদিকদের হানিপ্রীতের কাছে ঘেঁষতে দেওয়া হয়নি। বুধবার পাঁচকুলা আদালতে হাজিরার হানিপ্রীত এবং তার সহযোগী সুখদীপকে নিয়ে হাজিরার সময় পর্যন্ত পুলিশ বারবার তাদের আড়াল করেছে।
চণ্ডী মন্দির থানা থেকে আদালতে হাজিরার আগে পর্যন্ত পুলিশের কনভয়ে ছিল একটি সাদা ট্রাভেরা। এসকর্ট করছিল একটি জিপসি। কনভয়ের প্রত্যেক গাড়ির মাথায় ছিল নীল বেকন। একটি সাদা ট্রাভেরার কোনও নম্বর প্লেট ছিল না। রাস্তায় কনভয়ে আরও একটি সাদা ট্রাভেরা যুক্ত হয়। যার পিছনের সিটে বসেছিলেন দুই মহিলা। হানিপ্রীত এবং সুখদীপের মতো একইরকমের।
আদালতে পৌঁছনোর পরেই সাংবাদিকরা এই গাড়িটিকেই ধাওয়া করেন। এই সময়ের মধ্যে আসল গাড়িটি আসল হানিপ্রীত এবং সুখদীপকে নিয়ে আদালত চত্বরে পৌঁছে যায়। যেখানে অন্য কারও হাজিরার অনুমতি ছিল না।