প্রজাতন্ত্র দিবসের ট্রাক্টর ব়্যালি ঘিরে ধুন্ধুমার দিল্লিতে! কৃষকদের উপর লাঠিচার্জ পুলিশের
দিল্লি সীমান্তে কৃষক-পুলিশ সংঘর্ষ। ব্যারিকেড ভেঙে এগোনোর চেষ্টা কৃষকদের। লাঠিচার্জ করল পুলিশ। বিক্ষোভরত কৃষকদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার গ্যাসের শেলও ফাটানো হয়। এদিকে পশ্চিম দিল্লিতে কৃষক নেতারা বিক্ষোভকারীদের বিশৃঙ্খলার মাঝে শান্ত রাখার চেষ্টা করেন। প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, সমাবেশের সময় নির্ধারণের জন্য তাঁরা পুলিশদের সঙ্গে একটি বৈঠক করবেন।
সিঙ্ঘু সীমান্ত থেকে কৃষকদের ট্র্যাক্টর মিছিল
সিঙ্ঘু সীমান্ত থেকে কৃষকদের ট্র্যাক্টর মিছিল দিল্লির সঞ্জয় গান্ধি ট্রান্সপোর্ট নগরে পৌঁছালে তাদের আটকানোর চেষ্টা করে পুলিশ৷ কিন্তু পুলিশি বাধা অতিক্রম করে কৃষকরা এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে৷ পুলিশের সঙ্গে কৃষকদের ধস্তাধস্তি শুরু হয়। তাদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে৷
পুলিশ রিং রোডে আটকে দেয় মিছিল
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে কিষাণ মজদুর সংঘর্ষ কমিটির নেতা সতনাম সিং বলেন, 'আমরা পুলিশের বরিষ্ঠ আধিকারিকদের সঙ্গে প্রায় ৪৫ মিনিট আলোচনা করি৷ আমাদের শান্তিপূর্ণ মিছিল ছিল৷ তবুও পুলিশ তা রিং রোডে আটকে দেয়৷' এদিকে এদিকে পশ্চিম দিল্লিতে কৃষক নেতারা বিক্ষোভকারীদের বিশৃঙ্খলার মাঝে শান্ত রাখার চেষ্টা করেন। প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, সমাবেশের সময় নির্ধারণের জন্য তাঁরা পুলিশদের সঙ্গে একটি বৈঠক করবেন।
সিংঘু, টিকরি, গাজিয়াবাদ, চিল্লা সীমান্তে উত্তেজনা
সাধারণতন্ত্র দিবসে দিল্লিতে কুচকাওয়াজের পাশাপাশি রয়েছে কৃষকদের ট্র্যাক্টর প্যারেড৷ ইতিমধ্যে সিংঘু, টিকরি, গাজিয়াবাদ, চিল্লা সীমান্ত থেকে কৃষকদের ট্র্যাক্টর মিছিল দিল্লির অভিমুখে রওনা দিয়েছে৷ নতুন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলনরত কৃষকরা দিল্লিতে প্রবেশ করার মুখে রাজধানীর উপকণ্ঠে পুলিশের ব্যারিকেড ভাঙার খবর পাওয়া গিয়েছে।
পাঁচ হাজারেরও বেশি কৃষক নির্ধারিত সময়ের আগেই এগিয়ে যান
হরিয়ানা ও দিল্লির মাঝে সিঙ্ঘু সীমান্তের কাছে পাঁচ হাজারেরও বেশি কৃষক নির্ধারিত সময়ের আগেই এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়। এরপরই ব্যারিকেড ভাঙে বিক্ষোভরত কৃষকরা। প্রসঙ্গত, নভেম্বরের শেষ থেকে শুরু হওয়া এই আন্দোলনের কেন্দ্রস্থল সিঙ্ঘু সীমান্তই।