১ খুন ঢাকতে আরও ৯ খুন! নাম জড়াল পশ্চিমবঙ্গ-সহ ৪ রাজ্যের
১ খুন ঢাকতে আরও ৯ খুন! নাম জড়াল পশ্চিমবঙ্গ-সহ ৪ রাজ্যের
দিন কয়েক আগে তেলেঙ্গানার ওয়ারাঙ্গেলের এক কুঁয়ো থেকে নটি দেহ উদ্ধার করেছিল পুলিশ। রহস্যজনক এই খুনগুলির তদন্তও শুরু করে পুলিশ। এরপর পুলিশ সঞ্জয় কুমার নামে বিহারের এক বাসিন্দাকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশের দাবি, ধৃত স্বীকার করেছে এক খুন ঢাকতে সে নটি খুন করেছে।
খুনের শুরু লকডাউনের আগে
রফিকা নিখোঁজ ছিল মার্চ থেকে। পশ্চিমবঙ্গে থেকে অন্ধ্রে যাওয়ার পথে সঞ্জয় কুমার রফিকাকে ট্রেন থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়। এইভাবেই রফিকার মৃত্যু হয়।
কুঁয়ো থেকে উদ্ধার নটি দেহ
মাকসুদ, তাঁর স্ত্রী নিশা, তাদের কন্যা বুশরা খাতুন এবং তিন বছরের ছেলের দেহ গত বৃহস্পতিবার কুঁয়ো থেকে উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও, আরও ৫ জনের দেহ শাহবাজ আলম(২০), সোহেল আলম(২০), শাকিল(৩০), শ্যাম ও শ্রীরামের দেহ গত শুক্রবার ওই একই কুঁয়ো থেকে উদ্ধার করা হয়।
সূত্র ধরেই গ্রেফতার অভিযুক্ত
নিশা নিখোঁজ। কিন্তু তাঁর সঙ্গে শেষ সঞ্জয় কুমারকেই দেখা গিয়েছিল। অন্যদিকে সঞ্জয় কুমারের সঙ্গে রফিকার লিভ-ইন-রিলেশনশিপ ছিল। ফলে সঞ্জয় মাকসুদ, নিশা ও তাদের পরিবারের চার সদস্যকে খুনের ষড়যন্ত্র করে।
খুনের আগে ঘুমের ওষুধের ব্যবহার
জানা গিয়েছে মাকসুদ আদতে পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা হলেও, তিনি ওয়ারাঙ্গলে ব্যাগ তৈরির কারখানায় কাজ করতেন। গতবুধবার রাতে মাকসুদের পরিবার তাঁর নাতির জন্মদিন পালন করে। যেখানে সঞ্জয় উপস্থিত ছিল। সুযোগ বুঝে ডালের মধ্যে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দেয় সঞ্জয়।
বাঙালি পরিবারের ছয় সদস্য আর বিহারী শ্যাম, শ্রীরাম, আর ত্রিপুরার বাসিন্দা সাকিল ডাল খাওয়ার পরেই জ্ঞান হারায়। এরপর গভীর রাতে সঞ্জয় দেহগুলি নিয়ে কুঁয়োয় ফেলে দেয়।
বিজেপির মাস্টারস্ট্রোক লকডাউনেও, বিরোধী শিবির ছেড়ে দলে দলে যোগদান গেরুয়া শিবিরে