হাথরাস থেকে শিক্ষা নিলেন শিবরাজ! তদন্তে গাফিলতির জের, মধ্যপ্রদেশে গ্রেফতার পুলিশ অফিসার
কয়েকদিন আগে উত্তরপ্রদেশের হাথরসে এক যুবতিকে গণধর্ষণ করা হয়। যা নিয়ে তোলপাড় হচ্ছে গোটা দেশ। এদিকে হাথরাসের পর উত্তরপ্রদেশেরই বলরামপুরে ২২ বছর বয়সি এক যুবতীকে অপহরণ ও ধর্ষণের পর খুনের অভিযোগ ওঠে৷ পরপর এই সব ঘটনায় বিশাল চাপে রয়েছে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। সেখান থেকে শিক্ষা নিয়েই এবার নিজের রাজ্যে পদক্ষেপের পথে হাঁটলেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান।
গ্রেফতার থানার ওসি
জানা গিয়েছে শুক্রবার রাতেই শিবরাজ সিং চৌহান এই গণধর্ষণ কাণ্ডের বিস্তারিত জানতে চেয়ে রিপোর্ট তলব করেন। প্রসঙ্গত, গতকাল সেই নির্যাতিতা আত্মহত্যা করেন, যার পরই উত্তপ্ত হয়ে যায় পরিস্থিতি। এবং উত্তরপ্রদেশ থেকে শিক্ষা নিয়ে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দেন তিনি। গতিতরিয়ার পুলিশ থানার ইনচার্জ এএসআই মিশ্রী লাল গোপাড়েকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে কর্তব্যে গাফিলতির দায়ে। এছাড়া অ্যাডশনাল এসপি এবং এসডিওপিকেও তলব করে কড়া কথা শিনেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
অপমানে নিজের প্রাণ কেড়ে নেন নির্যাতিতা
জানা গিয়েছে, চারদিন ধরে পুলিশ সেই নির্যাতিতার অভিযোগ দায়ের করেনি। এরপরই অপমানে নিজের প্রাণ কেড়ে নেন সেই মহিলা। প্রসঙ্গত, সেই মহিলা গতিতরিয়া এলাকার বসবাসকারী একজন দলিত ছিলেন। এদিকে চারদিন ধরে এই ঘটনার কোনও তদন্ত শুরু না করায় পুলিশের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সামনেই গুরুত্বপূর্ণ উপনির্বাচন রাজ্যে
আগামী ৩ নভেম্বর দেশের মোট ৫৬ টি আসনের মধ্যে মধ্যপ্রদেশের ২৭টি বিধানসভা আসন হবে উপনির্বাচন। সরকার পরিবর্তনের পর স্বাভাবিকভাবেই এই বিধানসভা উপনির্বাচনকে পাখির চোখ করছে মধ্যপ্রদেশ কংগ্রেস। এদিকে মধ্যপ্রদেশের রাজনীতিতে নিজের গড় ধরে রাখতে মরিয়া থাকবেন সিন্ধিয়াও। পাশাপাশি বিজেপির কাছেও এটি হতে চলেছে এই উপনির্বাচন। এরই মাঝে দেশজুড়ে দলিত মহিলাদের উপর অত্যাচারের ইস্যুটি নিয়ে সরব কংগ্রেস। সেই ইস্যুকে ব্যবহার করে যাতে এই নির্বাচনে হাত শিবির ফায়দা না তুলতে পারে, তার জন্যেও এই তৎপড়তা হতে পারে।
হাথরাসের ঘটনায় বিতর্ক শেষ হওয়ার নাম নেই
এদিকে উত্তরপ্রদেশের হাথরাসের ঘটনায় বিতর্ক শেষ হওয়ার নাম নেই। নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগ, প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করেছে বিশেষ তদন্তকারী দল। এমনকী টাকা নিয়ে আপসের কথা বলা হয়েছে বলেও অভিযোগ করে পরিবার। মামলা তুলতে বারবার চাপ দেওয়া হয়েছে। গতকালও তারা বাইরে বের হতে পারেনি। বাড়িতে সবজি নেই। তা কিনতে যেতে পারেনি বলেও জানায় তারা।
চাপে যোগী প্রশাসন
কড়া নজরদারি জারি এক মুহূর্তও বন্ধ হয়নি। গতকাল নির্যাতিতার এক ভাই খেতের মধ্যে দিয়ে পালিয়ে আসে। সংবাদমাধ্যমকে জানায়, পরিবারকে কার্যত বন্দী বানিয়ে রেখেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। এমনকী তাদের মোবাইল ফোনও নিয়ে নেওয়া হয়েছে। প্রতিমুহূর্তে চলছে হুমকি। কিন্তু, দু'দিন পর সেইসব অভিযোগ কার্যত অস্বীকার করে স্থানীয় প্রশাসন।
হাথরাস ইস্যুতে বাংলা বনাম উত্তরপ্রদেশ, ডেরেকের 'অভিনয় প্রতিভা' নিয়ে কটাক্ষ বিজেপির