হায়দরাবাদ জুবিলি হিলসে গণধর্ষণ, মামলায় তৃতীয় গ্রেফতার
হায়দরাবাদ জুবিলি হিলসে গণধর্ষণ, মামলায় তৃতীয় গ্রেফতার
চাঞ্চল্যকর হায়দরাবাদ (hyderabad) গণধর্ষণ (gang rape) মামলায় পুলিশ এখনও পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেফতার (arrest) করেছে। শনিবারেই এই তৃতীয় ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ এখন শহরের বাইরে বাকি দুই অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে।
অভিযুক্তদের একজন ভিআইপির ছেলে
২৮ মে এক কিশোরীকে গণধর্ষণের ঘটনায় পুলিশ প্রথমেই দুজনকে গ্রেফতার করে। দুজনই কিশোর। পুলিশ জানিয়েছিল দ্বিতীয় অভিযুক্ত এক ভিআইপির ছেলে। কিন্তু নাম প্রকাশ করা হয়নি পুলিশের তরফে। বিষয়টি নিয়ম লঙ্ঘনে পড়ে যাবে বলেও জানায় পুলিশ। শুক্রবার পুলিশ আরও এক নাবালককে গ্রেফতার করতে পারেনি। কেননা রাতে নাবালককে গ্রেফতার করা যায় না। রাজ্যের বিরোধী বিজেপির অভিযোগ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নাতি এবং এমআইএম-এর এক বিধায়কের ছেলে ওই ঘটনায় জড়িত।
অভিযুক্ত পাঁচজনই শনাক্ত
হায়দরাবাদের
ডেপুটি
পুলিশ
কমিশনার
জোয়েল
ডেভিস
শুক্রবার
রাতে
জানিয়েছেন
১৬-১৭
বছরের
জুই
কিশোর-সহ
পাঁচ
অভিযুক্তকেই
শনাক্ত
করা
গিয়েছে।
প্রধান
অভিযুক্ত
সাদুদ্দিন
মালিক
(১৮)কে
শুক্রবার
গ্রেযফতার
করে
পুলিশ
এছাড়াও
ওমাইর
খান
এবং
অন্য
দুই
কিশোরকেও
খুঁজে
বেরাচ্ছে।
অপরাধের
তিনদিন
পরে
রিপোর্ট
দায়ের
হওয়ায়
অভিযুক্তরা
অন্য
জায়গায়
পালিয়ে
যায়।
তবে
পুলিশের
তরফে
অভিযুক্তদের
খোঁজে
তেলেঙ্গানা-সহ
প্রতিবেশী
রাজ্যেও
তল্লাশি
চালাচ্ছে।
শুক্রবার
রাতে
ডিসিপি
জানিয়েছিলেন,
৪৮
ঘন্টার
মধ্যে
সব
অভিযুক্তকেই
গ্রেফতার
করা
হবে।
২৮ মের রাতের ঘটনা
অভিযুক্তরা
২৮
মে
গত
শনিবার
রাতে
জুবিলি
হিলসের
একটি
পাব
থেকে
বেরনো
এক
যুবতীকে
বাড়ি
পৌঁছনোর
নাম
করে
ইনোভা
গাড়িতে
তোলে।
এরপর
ওই
যুবতীর
ওপরে
যৌন
নির্যাতন
চালানো
হয়।
পুলিশের
তরফে
অবশ্য
বলা
হয়েছে
অভিযুক্তরা
পাবের
সামনে
থেকে
ওঠার
পরে
মধ্যে
একটি
পেস্ট্রির
দোকানে
থামে
এবং
সেখান
থেকে
তারা
অন্য
একটি
গাড়িতে
ওঠে।
পুলিশের
তরফ
থেকে
অপরাধটি
ঠিক
কোথায়
ঘটেছে
তা
প্রকাশ
করতেও
অস্বীকার
করা
হয়েছে।
কারণ
হিসেবে
বলা
হয়েছে,
তা
হলে
তা
ওই
যুবতীর
পরিচয়ও
প্রকাশ
করে
ফেলবে।
পুলিশ
দ্বিতীয়
গাড়িটি
বাজেয়াপ্ত
করলেও
ইনোভা
গাড়িটি
সম্পর্কে
কোনও
কথাই
বলেনি।
এছাড়ও
ইনোভার
মালিক
সম্পর্কেও
উত্তর
এড়িয়ে
গিয়েছে
পুলিশ।
তবে
পুলিশি
তদন্তে
জানা
গিয়েছে
অপরাধের
পরে
অভিযুক্তরা
ওই
যুবতীকে
পাবের
সামনেই
নামিয়ে
দেয়।
এক
ব্যক্তি
ওই
যুবতীকে
উদ্ধার
করেন।
সেই
সময়
যুবতীর
ঘাড়ের
কাছে
দাগ
ছিল।
৩১ মে অভিযোগ দায়ের
৩১ মে যুবতীর বাবা পুলিশের কাছে গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। বলেন, ২৮ মে তাঁর মেয়ে একটি পার্টিতে গিয়েছিল। তিনি সন্দেহ করছেন শ্লীলতাহানির মতো কিছু ঘটেছে। কেননা তাঁর মেয়ে ওই ঘটনার পর থেকে কোনও কথা বলছে না।
অভিযোগ পাওয়ার পরেই পুলিশ ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪ নম্বর ধারা এবং পকসো আইনের ৯ ও ১০ নম্বর ধারায় মামলা নথিভুক্ত করে। পরের দিনই পুলিশ ও যুবতীকে কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা করে। সেই সময় ওই যুবতী সেই দিনের ঘটনার বিবরণ দেয়। সেই সময়ের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ আইপিসির ৩৭৬ ধারায় পকসো আইনের ৫ ও ৬ নম্বর ধারায় মামলা পরিবর্তন করে। এছাড়াও যুবতীর গায়ে আঘাতের চিহ্ন থাকায় আইপিসির ৩২৩ নম্বর ধারাও যুক্ত করা হয়।
পুলিশের তরফ থেকে তার পর সিসিটিভি ফুটেজ, প্রযুক্তিগত অন্য প্রমাণ এবং যুবতীর বয়ানের ওপরে ভিত্তি করে পাঁচজনকে শনাক্ত করে। এর মধ্যে দুজনের বয়স ১৮-র ওপরে। বাকি তিনজনের বয়স ১৬-১৭ বছরের মধ্যে।