পাঠানেকোটে ৩ সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে ঘিরে আতঙ্ক, তল্লাশি অভিযান শুরু করল পুলিশ
ফের পাঠানকোটে জঙ্গি হানার আতঙ্ক। পাঠানকোটের গ্রাম থেকে একটি এসইউভি গাড়ি ছিনতাই করে পালানো তিন ব্যক্তিকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পাঠানকোটে। এই ৩ সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে খুঁজতে তল্লাশি অভিযান শুরু হয়েছে।
পাঠানকোট, ৩ মে : ফের পাঠানকোটে জঙ্গি হানার আতঙ্ক। পাঠানকোটের গ্রাম থেকে একটি এসইউভি গাড়ি ছিনতাই করে পালানো তিন ব্যক্তিকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পাঠানকোটে। এই ৩ সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে খুঁজে বের করতে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে পুলিশ। [ পাঠানকোট হামলা : এই প্রমাণগুলি বলছে হামলাকারীরা পাকিস্তানিই]
পুলিশ জানিয়েছে, এই তিনজনকে বেরহামপুরের চেকপোস্টের কাছে আটকানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু তারা গাড়ি না থামিয়ে উল্টে গাড়ির গতি বাড়িয়ে পালিয়ে যায়। পুলিশ গাড়িটি ধাওয়া করে। কিন্তু বামিয়ালের কাছে মাখনপুর গ্রামে গাড়িটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। ওই তিন ব্যক্তির খোঁজ এখনও মেলেনি। [#FlashBack 2016: এবছর যে উল্লেখযোগ্য ৫ ঘটনায় শোরগোল পড়েছে দেশে]
পাঠানকোটের এসএসপি বিবেক শীল সোনি জানিয়েছেন গাড়িটিকে জম্মুর সাম্বা এলাকা থেকে ছিনতাই করা হয়েছে। এদেরকে ধরতে বিশাল আকারে তল্লাশি অভিযান শুরু করা হয়েছে। মাখনপুর গ্রামে প্রায় ২০০ জন পুলিশকে মোতায়েন করা হয়েছে।
গাড়িটিতে কোনওরকম সন্দেহজনক কিছু পাওয়া যায়নি। গাড়িটিকে ইতিমধ্য়ে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এই গাড়িটির রেজিস্ট্রেশন নম্বর ভুয়ো বলেও জানিয়েছে পুলিশ।
এসএসপি জানিয়েছেন, ২০১৫ সালে গুরুদাসপুর হামলার সময় জঙ্গিরা সেনা বা পুলিশের উর্দিতে ছিল, এবার অবশ্য সন্দেহভাজন তিনজনরে পোশাক সাধারণই ছিল।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে সেনার উর্দিধারী ৩ সন্ত্রাসবাদী একটি গাড়ি হাইজ্যাক করে গুরুদাসপুরের দিনানগর পুলিশ থানায় হামলা চালায়। এই ঘটনায় ৭ জনের মৃত্যু হয়েছিল। মৃতদের মধ্য়ে ছিলেন পুলিশ সুপারও।
গত বছর সীমান্ত পেরিয়ে জঙ্গিরা পাঠানকোটের বায়ুসেনা ঘাটিতে হামলা চালায়। এই ধটনায় ৭ জন নিরাপত্তা কর্মীর মৃত্যু হয়েছিল।