খুনের অস্ত্র নিজের হাতেই তৈরি করেছিল রিয়াজ আটারি, উদয়পুর কাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে
খুনের অস্ত্র নিজের হাতেই তৈরি করেছিল রিয়াজ আটারি, উদয়পুর কাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে
উদয়পুর কাণ্ডে দুই অভিযুক্তকে জেরা করে চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে। পুলিশ জেরায় জানতে পেরেছে দর্জিকে খুন করার জন্য যে ছুরি দুই অভিযুক্ত ব্যবহার করেছিল সেটা তারা নিজেরাই তৈরি করেছিল। রিয়াজ আটারি নিজে সেই ছুরি তৈরি করেছিল। সেই ছুরি আবার কসাইকে দিয়েছিল ইদের আগে বকরি জবাইয়ের জন্য।
খুনের অস্ত্র নিজের তৈরি
উদয়পুর হত্যাকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে আনল পুলিশ। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন ঘটনায় গ্রেফতার দুই অভিযুক্ত রিয়াজ আটারি আর ঘসু মহম্মদ জানিয়েছেন খুনের জন্য অস্ত্র তৈরি করেছিল রিয়াজ আটারি। বকরি ইদের আগে ৮টি ছুরি তৈরি করেছিল সে। সগুলি কসাইকে দিয়েছিল কাজের জন্য। সেই কসাইয়ের কাছ থেকেই পরে ছুরি চেয়ে নিয়ে এসে উদয়পুরে দর্জি কানহাইয়া লালকে হত্যা করে তারা। স্থানীয় এক কসাই মহসীন মুর্গওয়ালার কাছ থেকে তারা ছুরিটি চেয়ে নিেয় এসেছিল। সেই কসাইকে গ্রেফতার করেছে এনআইএ।
করাচি গিয়েছিল দুই অভিযুক্ত
তদন্তকারীরা আর জানতে পেরেছে খুনের ঘটনার আগে পাকিস্তানের করাচিতে গিয়েছিল তারা। সেখানে ইসলামিক সংগঠন দাওয়ত-এ-ইসলামির সদর দফতরে গিয়েছিল তারা। সেখানে ইসলামিক সংগঠনের নেতা দাদর কাদরির সঙ্গে দেখা করাই ছিল তাদের উদ্দেশ্য। তদন্তকারীরা আরও জানতে পেরেছেন ঘসু ২ বার আরবে গিয়েছেন উমরা করার জন্য। ঘসুর সঙ্গে করাচি গিয়েছিলেন আরও ২ জন তাদের ডেকে জেরা করছেন তদন্তকারীরা।
হোয়াটস অ্যাপ চ্যাটে নজর
বাইরে থেকে নির্দেশ এসেছিল খুন করার নাকি তারা নিজেরাই ইসলামিক সংগঠনের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে তা জানতে হোয়াটস অ্যাপে নজর দিয়েছেন তদন্তকারীরা। দুই অভিযুক্ত দাওয়ত-এ-ইসলামির সঙ্গে যে হোয়াটস অ্যাপ চ্যাট করত সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যদিও তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন দুই অভিযুর্ক পাকিস্তানের কোনও ইসলামিক মুভমেন্টের সঙ্গে জড়িত নয়। তারা দাওয়ত-এ-ইসলাম সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। এবং এই সংগঠনের অনুগামী।
নারকীয় হত্যাকাণ্ড
বিজেপি নেত্রী নুপুর শর্মার নবীকে নিয়ে করা বিতর্কিত মন্তব্যকে সমর্থন জানিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করেছিলেন উদয়পুরের দর্জি কানহাইয়া লাল। নবীকে নিয়ে অপমান জনক মন্তব্যে করার অপরাধে খুন হতে হয়েছে কানহাইয়া লালকে। জামার মাপ দেওয়ার নাম করে এসে প্রকাশ্য তাঁকে দোকানের ভেতরেই ছুরি দিয়ে গলা কেটে খুন করে দুই মুসলিম যুবক। তার পরেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছিল গোটা রাজস্থানে। উদয়পুরে বন্ধ করে দেওয়া হয় ইন্টারনেট পরিষেবা। জারি করা হয়েছিল ১৪৪ ধারা।
বাতিস্তম্ভে হাত রাখতেই ঝটকা, এরপরেই সব শেষ! বিদ্যুৎপৃষ্ঠ হয়ে আরও এক মৃত্যু