রাতের আঁধারে ঘোরে ওটা কে, জানতে তৎপরতা পুলিশের
অতৃপ্ত আত্মা! যে নাকি আদর খেতে চায়। চায় সঙ্গম করতে! নিঃসন্দেহে অসুখী পেতনি বটে। এমনই দাবি করে পুলিশের দ্বারস্থ হলেন মধ্যপ্রদেশের এক বিজ্ঞানী। তিনি আগে অধ্যাপনাও করতেন। তাঁর অভিযোগ রুজু করে ভূত থুড়ি পেতনি ধরতে জোরদার তদন্ত শুরু করে দিয়েছে পুলিশ।
কী ঘটেছে?
চন্দ্রপ্রকাশ ত্রিবেদী (৬৬) বললেন, "খুবই ভয়ঙ্কর ঘটনা। রাতে যখন আলো নিভিয়ে ঘুমোতে যাই, তখন আসে। এটুকু বুঝতে পেরেছি, কোনও মহিলার আত্মা। ঘরে হেঁটে বেড়ায়। বাতাসে এত চাপ তৈরি করে, মনে হয় শরীর থেকে বীর্য টেনে নেবে। বুঝি, ওই আত্মা আমার সঙ্গে যৌন সঙ্গম করতে চায়। আমি এমন একটা কিছু অনুভব করি, যেটা সচরাচর শুনে কেউ বিশ্বাস করবে না। এমন অনেকবার হয়েছে, ভয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পালিয়েছি। লোকে ভাবে, বিজ্ঞানী বলে পড়াশুনো করে বোধ হয় আমার মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু আমি পুরোপুরি সুস্থ।" পুলিশের কাছে রুজু করা অভিযোগে তিনি লিখেছেন, "সন্দেহজনক এক অশুভ আত্মা আমার ওপর ভর করতে চাইছে। পেতনির বাড়ি ওডিশাতে বলে জানতে পেরেছি।"
রাজ্য পুলিশের সহকারী আইজি (সাইবার সেল) এ কে ঝরিয়া জানান, তদন্ত শুরু হয়েছে। সাধারণত যে ধরনের অভিযোগ পুলিশ পায়, এটা তেমন নয়। তাই গুরুত্ব দিয়ে বিষয়টি দেখা হচ্ছে। তদন্তকারী দলের এক অফিসার বলেন, "এটা যে ভূতুড়ে ঘটনা ধরে নিয়ে আমরা এগোচ্ছি, এমন নয়। হতে পারে লোকটি কাল্পনিক ভাবতে ভালোবাসেন। এটা হতে পারে উনি মানসিক বিভ্রমের শিকার। আবার নেশাভাঙ করে এ সব মনে হয়েছে, এমনও সম্ভব। আমাদের কাজ, মানুষের পাশে দাঁড়ানো। ভূতুড়ে কাহিনী হলেও তাই আমরা অভিযোগ নিই।"
রাজ্য পুলিশের বক্তব্য, ভূতুড়ে অভিযোগগুলি আসে মালব এলাকা থেকে। ২০০৫ সালের ৭ এপ্রিল ভূত অমাবস্যার সময় কয়েকশো লোক নর্মদা নদীতে নেমে পূজার্চনা সারছিল। আকস্মিক বান আসায় ভেসে যায় সবাই। তার পর থেকে এই অঞ্চলে নানা উপদ্রব শুরু হয়। কিছুদিন আগে ইন্দোরেরই বাসিন্দা রামচন্দ্র সিং অভিযোগ করেছিলেন, ভূতে তাঁকে ধাওয়া করছে। ঘুমোতে গেলে কেউ যেন গলা টিপতে আসছে। স্থানীয় থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে পুলিশ তাঁকে খেদিয়ে দেয়। শেষে পদস্থকর্তাদের নির্দেশে তদন্ত শুরু হয়। তাতে অবশ্য কিছু পাওয়া যায়নি। পরে ওই ব্যক্তি বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান।