প্রদ্যুম্ন হত্যার দায় স্বীকার করাতে কতটা নৃশংস হয়েছে পুলিশ, জানাল কন্ডাক্টর অশোক
অশোক জানিয়েছেন, কীভাবে পুলিশ অকথ্য অত্যাচার চালিয়েছে প্রদ্যুম্ন হত্যার দোষ স্বীকার করার জন্য। জামিন পাওয়ার পরও তাই ভয়ে, বিষণ্ণতায় সে কুঁকড়ে রয়েছেন। কথা বলতে গেলে শ্বাস ফুলে উঠছে, হাফিয়ে যাচ্ছেন অশোক।
প্রদ্যুম্ন ঠাকুরকে হত্যা করেছে বলে রায়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের বাস কন্ডাক্টর অশোক কুমারকে অভিযুক্ত করে গ্রেফতার করেছিল গুরগাঁও পুলিশ। তবে সিবিআই এই ঘটনার তদন্ত করে জানিয়েছে অশোক এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়। এখনও পুরোপুরি অভিযোগ মুক্ত না হলেও দুদিন আগে জামিনেও তিনি ছাড়া পেয়েছেন।
অশোক জানিয়েছেন, কীভাবে পুলিশ অকথ্য অত্যাচার চালিয়েছে প্রদ্যুম্ন হত্যার দোষ স্বীকার করার জন্য। জামিন পাওয়ার পরও তাই ভয়ে, বিষণ্ণতায় সে কুঁকড়ে রয়েছেন। কথা বলতে গেলে শ্বাস ফুলে উঠছে, হাফিয়ে যাচ্ছেন অশোক। গত দশদিন ধরে জ্বরে কাবু হয়ে রয়েছেন। এমনটাই জানিয়েছেন স্ত্রী।
আর অশোক করেছেন মারাত্মক অভিযোগ। তাঁর দাবি, গত সেপ্টেম্বরের ৮ তারিখ প্রদ্যুম্ন হত্যায় তাঁকে গ্রেফতারের পরই অত্যাচার শুরু হয়েছিল পুলিশের। প্রথমেই তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় সোহনা ক্রাইম ইউনিটে। সেখানে দুটি ইঞ্জেকশন ও ইলেকট্রিক শক দেওয়া হয়।
পুলিশ জোর করে সংবাদমাধ্যমের সামনে বয়ান দেওয়ায় সে প্রদ্যুম্নকে হত্যা করেছে বলে। এমনটাই দাবি অশোকের। পুলিশ আশ্বাস দিয়েছিল, দুই সপ্তাহ বাদে একজন সরকারি আইনজীবী ঠিক করে আমাকে মামলা লড়তে সাহায্য করবে পুলিশ। অশোকের দাবি, সংবাদমাধ্যমের সামনে আসার আগে পুরোপুরি অজ্ঞান ছিলেন তিনি। তারপরই ঘোরের মধ্যে যা বলতে বলেছে তিনি বলে দিয়েছেন।
প্রদ্যুম্ন হত্যায় অশোককে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়েছে পুলিশ। সেই অভিযোগে প্রশাসনের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করতে উদ্যোগ নিচ্ছে অশোকের গ্রামবাসীরা। গুরগাঁও পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে বলে জানা গিয়েছে। সঙ্গে সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণের জন্যও আবেদন জানানো হবে।