আরও চাপে মহম্মদ জুবায়ের, নতুন মামলায় দায়ের অভিযোগ
আরও সমস্যায় মহম্মদ জুবায়ের। এ বার নতুন অভিযোগ আনা হল ধৃত সাংবাদিকের বিরুদ্ধে। চার বছরের পুরনো বিতর্কিত টুইট মামলায় এই কথা বলা হয়েছে। অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র এবং প্রমাণ ধ্বংস করার মতো গুরুতর অভিযোগ রয়েছে নতুন অভিযোগের মধ্যে।
জুবায়েরের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র এবং প্রমাণ ধ্বংস করার পাশাপাশি ফরেন কনট্রিবিউশন রেগুলেশন অ্যাক্ট বা এফসিআরএ আইনের ৩৫ নম্বর ধারা অমান্যেরও অভিযোগ এনেছে দিল্লি পুলিশ। তবে ঘটনা হল দিল্লির পুলিশ কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে চলে। মূলত কাজ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের মন্ত্রকের নিয়ন্ত্রণে। তাঁরাই এই অভিযোগ এনেছে জুবায়েরের বিরুদ্ধে।
২০১৮-য় একটি টুইট করেছিলেন জুবায়ের। খুঁজে খুঁজে সেটি বার করেছে দিল্লি পুলিশ। তারপর তাঁরা বলছেন যে ওই টুইট 'ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত দিয়েছে'। এই অভিযোগেই দিল্লি পুলিশ গত ২৬ জুন , রবিবার খবরের সত্যতা যাচাই করার সংবাদমাধ্যম অল্ট নিউজের সহ-প্রতিষ্ঠাতা জুবায়েরকে গ্রেফতার করেছিল। এরপর সোমবার তাঁকে পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয় এক দিনের জন্য। ফের জেরার জন্য দিল্লি পুলিশ জুবায়েরকে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানানো হয়। এতপর মঙ্গলবার আরও চার দিনের পুলিশ হেফাজত মঞ্জুর করে দেন বিচারক।
সেই সময়সীমা শেষ হয়ে গিয়েছিল। স্বাভাবিক ভাবেই এরপর শনিবার দিল্লির একটি আদালতে জুবায়ের জামিনের জন্য আবেদন করেন। কিন্তু দিল্লি পুলিশ তো তাকে ছাড়বার পাত্র নয়। তাঁদের পক্ষের কৌঁসুলি জামিনের তাঁর বিরোধিতা করে। বলা হয় যে জুবায়েরকে তাঁরা আরও ১৪ দিনের জন্য পুলিশি হেফাজতে চাইছেন। কিন্তু এর কারণ কী ? কিছু একটা বলতে হবে। তাই পুলিশ আগে থেকেই খুঁজে রেখেছিল তাঁর চার বছর আগের করা কিছু টুইট। সেগুলিকে কোর্টের সামনে পেশ করে বলে যে এই কারণে তাকে তাঁরা জুবায়েরকে পুলিশি হেফাজতে চান। তবে দিল্লি আবার পুলিশ এও আদালতে জানিয়েছে, তদন্তের জন্য ধৃত জুবায়েরকে আর জেরা করার প্রয়োজন নেই তাঁদের।
প্রসঙ্গত জুবায়েরের গ্রেফতারি নিয়ে মুখ খুলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।তিনি এর জন্য বিজেপিকে আক্রমণ করলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, "বিজেপির সোশ্যাল মিডিয়া সবই জাল ভিডিও এবং ভুল তথ্য ছড়িয়ে মানুষকে প্রতারণা করছে। যখন আপনার নেতারা নোংরা ভুল তথ্য ছড়ায় এবং অন্যদের অপমান করে, তখন আপনি তাদের গ্রেপ্তার করবেন না। তখন একদম চুপ করে থাকা হয়। এমনকি তারা মানুষকে হত্যা করলেও তাদের স্পর্শ করা হবে না, কিন্তু আমরা যদি সত্য বলি তবে আমাদের লক্ষ্যবস্তু করা হবে। কেন তারা জুবায়েরকে গ্রেফতার করল? সে কি করেছিল? তিস্তাকে কেন গ্রেফতার করলেন? কি করেছে সে? আজ সারা বিশ্ব এর নিন্দা করছে।"