হায়দরাবাদে ৮জন আরব শেখকে গ্রেফতার, নারী পাচারের বড় চক্রের পর্দাফাঁস
হায়দরাবাদ থেকে আটজন শেখকে গ্রেফতার করে নারী পাচারের বড়সড় পর্দাফাঁস করেছে।
চুক্তি করে মেয়েদের ভুলিয়ে নিয়ে চলে যাওয়া হতো আরব দেশে। সেখানে নাবালিকা মেয়েদের তুলে দেওয়া হতো বয়স্ক শেখদের হাতে। মুসলিম সংখ্যালঘু এই মেয়েদের জীবন এভাবেই দুর্বিষহ হয়ে উঠত। সেই ঘটনার আঁচ পেয়ে তদন্তে নেমে হায়দরাবাদ থেকে আটজন শেখকে গ্রেফতার করে নারী পাচারের বড়সড় পর্দাফাঁস করেছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার হায়দরাবাদের বিভিন্ন গেস্ট হাউসে ও হোটেলে তল্লাশি চালানো হয়। তারপরে পাঁচজন ওমানের বাসিন্দা ও তিনজন কাতারের নাগরিককে গ্রেফতার করা হয়। এরা শহর ঘুরে ঘুরে মেয়েদের বিয়ে করার ছক কষেছিল।
জানা গিয়েছে, গ্রেফতার হওয়া বিদেশিদের মধ্যে দুজনের বয়স ৮০ বছরের বেশি। লাঠি হাতে তাঁরা হাটেন। তবে এই বয়সেও বিয়ের উদ্দেশে অন্তত ২০ জন মেয়ের সঙ্গে এরা যোগাযোগ রেখেছিলেন। তাদের গেস্ট হাউসে ডেকে ইন্টারভিউ নেওয়া চলছিল। সেই ফাঁকেই পুলিশ গিয়ে মেয়েদের উদ্ধার করে এই বিদেশিদের গ্রেফতার করে।
এর পাশাপাশি মুম্বইয়ের বাসিন্দা ফরিদ আহমেদ খান নামে এক কাজিকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে সে বিয়ের চুক্তি করিয়ে দিচ্ছিল।
গত অগাস্ট মাসে পুলিশের কাছে খবর আসে এই ধরনের একটি চক্র হায়দরাবাদে কাজ করছে। ফলে পুলিশ আরব থেকে আসা নাগরিকদের উপরে বিমানবন্দর থেকেই নজরদারি শুরু করে। যেসমস্ত হোটেলে তারা ছিলেন সেখানে নজরদারি চালিয়ে উপযুক্ত প্রমাণ হাতে পাওয়ার পরই পুলিশ এতজন শেখকে একসঙ্গে গ্রেফতার করেছে।