জেট থেকে চাকরি খোয়ানোর পর পিএমসি-তে আটকে ছিল আমানত, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত ব্যক্তি
কয়েকদিন আগেই প্রতারণায় নাম জড়িয়েছে পঞ্জাব অ্যান্ড মহারাষ্ট্র কোঅপারেটিভ ব্যাঙ্কের। এরপর থেকেই সেই ব্যাঙ্কের আমানতকারীরা আতঙ্কে ভুগতে শুরু করেন। এবার নিজের সর্বস্ব খোয়ানোর ভয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারালেন পিএমসি ব্যাঙ্কের আমানতকারী। মৃত ব্যক্তির নাম সঞ্জয় গুলাটি। বয়স ৫১। জানা গিয়েছে, কয়েকদিন আগেই জেট এয়ারওয়েজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সঞ্জয় গুলাটি বেকার হয়ে যান। তবে চাকরি হারানোর আগে ৯০ লক্ষ টাকা জমিয়েছিলেন সঞ্জয়। সেই অর্থের পুরোটাই পিএমসিতে জমা রেখেছিলেন তিনি।
জানা গিয়েছে, ব্যাঙ্কের আর্থিক প্রতারণার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে শামিল হন সঞ্জয়। এরপর বাড়ি ফিরলে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। সেই সময় পরিবারের সদস্যরা তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। চিকিৎসকরা জানান, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে সঞ্জয়ের।
সঞ্জয়ের পরিবার জানাচ্ছে, চাকরি হারানোর পর ব্যবসায় মনোনিবেশ করেন সঞ্জয়। এর জন্যই তাঁর অর্থের প্রয়োজন ছিল। তবে ব্যঙ্কের থেকে অর্থ তুলতে না পারায় তিনি ক্রমশই মানসিক অবসাদে চলে যেতে শুরু করেন। সঞ্জয়ের মৃত্যুতে পিএমসিকেই দোষারোপ করছে তাঁর পরিবারের সদস্যরা।
কয়েকদিন আগেই পিএমসি ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তোলার সীমা ২৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪০ হাজার করে রিজার্ভ ব্যঙ্ক। তবে এরপরও আমানতকারীদের মধ্য়ে ভয়ের পরিস্থিতি কাটেনি। এর থেকেই প্রতিবাদ শুরু করেন সেই ব্যাঙ্কের আমানতকারীরা।
সাম্প্রতিক তদন্তে জানা গিয়েছে, ব্যাঙ্কের ৪৩৫৫ কোটি টাকা প্রতারণায় অন্যতম দোষী ব্যাঙ্কেরই প্রাক্তন এমডি জয় থমাস। পিএমসি ব্যাঙ্ক প্রতারণায় যুক্ত থাকার অভিযোগে, ৪ অক্টোবর জয় থমাসকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরের দিনই তাঁকে আদালতে পেশ করা হয়। আদালত তাঁকে ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয়। অন্যদিকে ইডি ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত এইচডিআইএল-এর হাতে থাকা ২১০০ একর জমি বাজেয়াপ্ত করেছে। যার বাজার মূল্য প্রায় ৩৫০০ কোটি টাকা।