সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতেই জি-২০ সামিট সরব হতে কোমর বেঁধে নামছে ভারত
দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর এই প্রথম জি-২০ সামিটে যোগ দেবেন মোদী। তার আগে জি-২০ সামিটে ভারত কিসের উপর জোর দিতে চায় তার রূপরেখা তৈরি করে ফেলেছে।
দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর এই প্রথম জি-২০ সামিটে যোগ দেবেন মোদী। তার আগে জি-২০ সামিটে ভারত কিসের উপর জোর দিতে চায় তার রূপরেখা তৈরি করে ফেলেছে। সূত্রের খবর এবার মোদী বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করতে চান শক্তি নিরাপত্তা এবং সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে। যদিও সন্ত্রাসবাদ নতুন কোনও ইস্যু নয়। এর আগেও একাধিকবার আন্তর্জাতিক মঞ্চে সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে সরব হয়েছে ভারত।
২৮ এবং ২৯ জুন জাপানে বসছে জি-২০ সামিট। সেখানে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ভারতের পক্ষ থেকে মূলত শক্তি সঞ্চয়, সন্ত্রাসবাদ এবং আর্থিক প্রতারণায় পলাতক শিল্পপতিদের বিষয় উত্থাপন করা হবে। বিশ্বের প্রথম সারির দেশের রাষ্ট্র প্রধানরা যোগ দেবেন সেই বৈঠকে।
সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে পাকিস্তানকে কোনঠাসা করতে আগাম প্রস্তুতি ভারত সরে রেখেছে কাজাখস্তানের এসসিও সামিটে। সেখানে চিন, রাশিয়া সহ একাধিক দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে আলোচনায় পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়া নিয়ে নালিশ ঠুকেছেন মোদী। ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিক মহল থেকে এই নিয়ে চাপে রয়েছে পািকস্তান। সেই চাপ আরও বাড়াতে জি-২০ সামিেটর মঞ্চকে ব্যবহার করতে চায় ভারত।
এর সঙ্গে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ব্যাঙ্ক জালিয়াতিতে অভিযুক্ত পলাতক শিল্পপতিরা। অর্থাৎ বিজয় মালিয়া, মেহুল চোকসি, নিরব মোদীরা। দেশে কয়েক হাজার কোটি ব্যাঙ্ক জালিয়াতির পর বিদেশে গিয়ে বসবাস করছে এই শিল্পপতিরা। তাঁদের ফেরাতে মরিয়া মোদী সরকার। ইতিমধ্যেই বিজয় মালিয়া এবং নীরব মোদীকে দেশে ফেরাতে অনকটাই সাফল্য পেয়েছে ভারত। কিন্তু শতচেষ্টার পরেও কোথাও যেন আটকে যাচ্ছে কাজ। সেই কাজে গতি আনতেই এবার এই বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে জি-২০ সামিটে সকলের নজরে আনতে চান মোদী।