কবে বাজারে আসছে কোভিশিল্ড? উত্তর জানতে এবার সিরাম ইনস্টিটিউটে স্বয়ং মোদী
দেশের করোনা পরিস্থিতি ক্রমেই আরও জটিল হচ্ছে। এর মাঝে শীতকালে করোনা সংক্রমণ ফের বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের। এরই মধ্যে আশার আলোর মতো করোনা ভ্যাকসিনের খবর মিলছে বিভিন্ন জায়গা থেকে। তবে ভারতে কবে আসছে ভ্যাকসিন? জানা নেই কারোর। প্রধানমন্ত্রী নিজে এই প্রশ্নের জবাব দিতে পারেননি মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে। তবে এবার উত্তর জানতে পুণের সিরাম ইনস্টিটিউটে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। জানা গিয়েছে ২৮ নভেম্বর তিনি পুণে যাবেন ভ্যাকসিন গবেষণার অগ্রগতির বিষয়ে জানতে।
আদার পুনাওয়ালা দাবি
এর আগে সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার সিইও আদার পুনাওয়ালা দাবি করেছিলেন, খুব তাড়াতাড়ি কোরোনার ভ্য়াকসিন কোভিডশিল্ড পাওয়া যাবে। সিরামের দাবি ছিল, তাদের ভ্য়াকসিনের প্রথমটির ডোজ় প্রায় ৯০ শতাংশ কার্যকরী এবং দ্বিতীয় ডোজ প্রায় ৬২ শতাংশ কার্যকরী৷ অক্সফোর্ড-এস্ট্রাজেনেকা ভ্য়াকসিনের সঙ্গে পার্টনারশিপ করে কোভিডশিল্ড তৈরি করছে সিরাম ইনস্টিটিউট৷
ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা মোটের উপর প্রায় ৭০ শতাংশ
ইংল্য়ান্ড ও ব্রাজিলে ক্লিনিকাল ট্রায়ালের অন্তর্বর্তী বিশ্লেষণের পর AZD1222 ভ্য়াকসিনের কার্যকারিতা নিয়ে ইতিবাচক রিপোর্ট দিয়েছে এস্ট্রাজেনেকা৷ AZD1222 ভ্য়াকসিনের প্রথম ডোজ ৯০ শতাংশ কাজ কার্যকরী ছিল৷ একমাসের মধ্য়ে দুই ভাগে দেওয়া হয়েছিল৷ দ্বিতীয় ক্ষেত্রে ভ্য়াকসিনটি ৬২ শতাংশ কার্যকরী হয়েছিল, তখন একমাসের মধ্য়ে দুই বার পুরোপুরি ভ্য়াকসিনের প্রয়োগ করা হয়েছিল৷ যারপরে সিরাম ইনস্টিটিউট ও এস্ট্রাজ়েনেকার তরফে জানানো হয়েছে তাদের করোনার ভ্য়াকসিনের কার্যকারিতা মোটের উপর প্রায় ৭০ শতাংশ৷
মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৯২ লক্ষ ৬৬ হাজার
এদিকে এদিন বিগত কয়েকদিনের পরিসংখ্যান অনুযায়ী দৈনিক সংক্রমণের হার কিছুটা বেড়েছে। দৈনিক সংক্রমণের নিরিখে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৪৪ হাজার ৪৮৯ জন সংক্রমিত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ৫২৪ জনের। এনিয়ে দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯২ লক্ষ ৬৬ হাজার ৭০৫ জন।
খুব গুরুতর পরিস্থিতি মহারাষ্ট্র-দিল্লিতে
এদিকে সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা ৪ লক্ষ ৫২ হাজার ৩৪৪। দেশে মোট মৃতের সংখ্যা ১ লক্ষ ৩৫ হাজার ২২৩ জন। এপর্যন্ত সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৮৬ লক্ষ ৭৯ হাজার ১৩৮ জন। গতকাল সুস্থ হয়েছেন ৩৬ হাজার ৩৬৭ জন। মহারাষ্ট্রে সংক্রমিত হয়েছেন ৬ হাজার ১৫৯ জন, মৃত্যু হয়েছে ৬৫ জনের। এবং দিল্লিতে একদিনে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা 5 হাজার ২৪৬ জন, মৃতের সংখ্যা ৯৯ জন।