সুস্থ-সবল ভারত গড়তে মেগা পরিকল্পনা নরেন্দ্র মোদীর
লোকসভা ভোটের আগে এটাই স্লোগান ছিল নরেন্দ্র মোদীর। প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসে তিনি যে তা ভুলে মেরে দেননি, তা আবারও বোঝা গেল। দেশের সব মানুষের কথা মাথায় রেখে কেন্দ্রীয় সরকার চালু করতে চলেছে মেগা স্বাস্থ্য পরিকল্পনা। এর আওতায় একগুচ্ছ পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন এবং যোজনা কমিশনের সচিব সিন্ধুশ্রী কুল্লারকে পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মূল দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কাজ কতটা এগোল, নজর রাখবেন খোদ প্রধানমন্ত্রী।
কী থাকছে এই মেগা স্বাস্থ্য পরিকল্পনার আওতায়?
প্রথমত, দেশে ১২০ কোটি মানুষ থাকলেও এদের সিংহভাগের কোনও স্বাস্থ্যবিমা নেই। ফলে জটিল অসুখ হলে বা অপারেশনের দরকার হলে মানুষ অথৈ জলে পড়েন। হাসপাতালের বিল মেটাতে ঘটিবাটি বিক্রি করার দশা হয়। নিম্নবিত্ত মানুষরা তো আবার শুধু টাকার অভাবে ভালো চিকিৎসা করাতে পারেন না। তাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নির্দেশ, মধ্যবিত্ত থেকে নিম্নবিত্ত, সবাইকে স্বাস্থ্যবিমার আওতায় আনতে হবে। বিমার প্রিমিয়ামের বড় অংশ বহন করবে সরকার। খুব অল্প টাকা নেওয়া হবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির কাছ থেকে। যাদের স্বাস্থ্যবিমা করা হবে, তাদের দেওয়া হবে হেলথ কার্ড। ওই কার্ড দেখিয়ে যে কোনও সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালেও চিকিৎসা করানো যাবে। আপনার খরচ জোগাবে সংশ্লিষ্ট বিমা কোম্পানি।
দ্বিতীয়ত, দেশের জনসংখ্যার তুলনায় ডাক্তার কম। শহরে প্রতি এক হাজার জনে চিকিৎসক হল ০.৬৪ জন। গ্রামে এটা ০.৩২ শতাংশ। প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম। তাই সব রাজ্যের সব জেলায় একটি করে মেডিকেল কলেজ তৈরি করা হবে। রাজ্য সরকারকে শুধু জমির ব্যবস্থা করে দিতে হবে। কলেজ নির্মাণের খরচ বহন করবে কেন্দ্র।
তৃতীয়ত, কমিউনিটি হেল্থ নিয়ে তিন বছরের বিএসসি পাঠ্যক্রম চালু হবে। উদ্দেশ্য, গ্রামীণ স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে প্রাথমিক ধারণা দেওয়া।
চতুর্থত, ডাক্তারের পাশাপাশি নার্সের সংখ্যা বাড়াতে হবে। এ জন্য আরও নার্সিং কলেজ তৈরির অনুমোদন মিলবে।